জলপাইগুড়িতে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের অবস্থান কী তা স্পষ্ট করে জানাতে পারলেন না গোবিন্দ রায়। রবিবার নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের অফিসে এক সাংবাদিক সন্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দলীয় প্রতীক চেয়েছি। তারা দিলে নির্বাচনে লড়ব।” দলীয় প্রতীক না দিলে কী করবেন, তা-ও জানাতে পারেননি। তাদের লড়াই নিজের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে না বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে তাও পরিষ্কার না।
তিনি জানান, রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা আগামী ২৯ তারিখ সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তারপর তাদের তিন সদস্যের কমিটি ঠিক করবেন কী করা হবে। সেই কমিটিতে আছেন গোবিন্দ রায় নিজে, দলের জেলা সভাপতি সারদা প্রসাদ দাস এবং সম্পাদক আব্দুস সাত্তার।
গোবিন্দ রায়ের বক্তব্য এদিন স্ববিরোধিতায় ভরা ছিল। একবার তিনি বলছেন নির্বাচন পর্যন্ত বামফ্রন্টের মধ্যে থাকবেন না। আবার পর ক্ষণেই বলছেন রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। একটা বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার এবং নাগরাকাটা বাদে ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, রাজগঞ্জ এবং ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে তারা বামফ্রন্টের শরিক হয়ে জোট প্রার্থীকে সমর্থন করবেন। মালবাজার এবং নাগরাকাটায় তাঁদের কোনও সংগঠন নেই। প্রচারে অংশ নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই। জলপাইগুড়িতে নিজেরাই ত্রিশঙ্কু হয়ে আছেন।
তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে একই পরিস্থিতে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।” তাঁর প্রশ্ন “জলপাইগুড়িতে কেন তাহলে তাদের দলের প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়বেন না?” এই উদাহরণ দিয়ে তারা তাদের জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন। রবিবার নেতাজি ফাউন্ডেশনের অফিসে সকাল এগারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত জেলা কমিটির টানা সভা চলে। সেই সভার সিদ্ধান্তের কথা তারা রাজ্য কমিটির কাছে জানান। দাবি একটাই ‘প্রতীক চাই। জলপাইগুড়িতে নির্বাচনে লড়তে চাই।’
বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “এখন জলপাইগুড়িতে বামফ্রন্ট বলে কিছু নেই। সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কর্মসূচি নিচ্ছে। তাদের কিছু জানায়নি। অথচ জোট ঘোষণার আগে সপ্তাহে সপ্তাহে বামফ্রন্টের সভা হয়েছে। জোটের প্রার্থী ঘোষণা করার পর আর তাঁদের ডাকা হচ্ছে না।”
গোবিন্দ রায়ের বক্তব্য জানার পর জলপাইগুড়ি জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য বলেন, “বামফ্রন্টের শরিক প্রত্যেক দলের দায়বদ্ধতা আছে। তারা তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy