Advertisement
E-Paper

চার দিন পরে ফের জেলায় পজ়িটিভ ১০

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাবে নতুন করে ১০ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৭:১২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

চার দিন পরে ফের মালদহে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাবে নতুন করে ১০ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এতে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫৭। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে বাবা ও ৪ বছরের এক শিশুকন্যা রয়েছে। জানা গিয়েছে, সকলেই ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন। শিশুকন্যাটিও ভিন্ রাজ্যে ছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লালারস সংগ্রহের পরে ১০ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় আক্রান্তদের হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।

মালদহের ভাইরলজি ল্যাবে বকেয়া পরীক্ষার সংখ্যা কমায় জেলায় লালারস সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মালদহ জেলায় ৭৫৫টি লালারসের নমুনা ভাইরোলজি ল্যাবে জমা পড়ে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া ১ ব্লকের তিন জন আক্রান্তের মধ্যে চার বছরের এক শিশুকন্যা ও তার বাবা রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির বাবা সপরিবার গুজরাটে ছিলেন। ২১ মে তাঁরা 'শ্রমিক স্পেশ্যাল' ট্রেনে বাড়িতে ফেরেন। তাঁদের বাড়ি রতুয়া ১ ব্লকের দেবীপুর পুঁটিবাগানে হলেও, ঘর ভাঙা থাকায় ব্লকের নাককাটি সংলগ্ন চাঁদপুর গ্রামে শিশুটির মামাবাড়িতে উঠেছিলেন। এক দিন পরে ব্লক হাসপাতালে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে বাবা ও মেয়ের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সঙ্গে থাকলেও শিশুটির মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ব্লকের অন্য আক্রান্তের বাড়ি বাহিরখাপে। দু'জন আক্রান্ত থাকেন হবিবপুর ব্লকে। এক জনের বাড়ি শ্রীরামপুরের চামারপাড়া ও অন্য জনের পেরাপুরে। এক জন করে আক্রান্ত হয়েছেন গাজল, হরিশ্চন্দ্রপুর ২, মানিকচক ও রতুয়া ২ ব্লকে।

এ দিকে, ‘পুল টেস্ট’ বেশি সংখ্যায় করায় মালদহের ভাইরোলজি ল্যাবে লালারসের নমুনার বকেয়ার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত এই ল্যাবে ব্যাকলগ ছিল ৬৮৩টি। জানা গিয়েছে, বকেয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ায় মালদহ জেলায় লালারসের নমুনা সংগ্রহের হার বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ব্যাকলগ’ দ্রুত কমিয়ে জেলায় বেশি করে লালারসের নমুনা পরীক্ষার দাবি তুলেছে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, "নতুন করে আরও দশ জন জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যাকলগ কমায় লালারসের নমুনা সংগ্রহ বাড়ানো হয়েছে। তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।"

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy