Advertisement
E-Paper

রায়গঞ্জে ‘মার’,জখম প্রসূতির চার পরিজন

প্রসূতি বিভাগে ঢোকা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশের সঙ্গে এক প্রসূতির পরিবারের লোকেদের মারপিটের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে। নিরাপত্তারক্ষীরা ওই প্রসূতির ভাই মহম্মদ আব্দুল রহিম, স্বামী মহম্মদ হুমায়ুন, মা রসেদা বিবি ও কাকিমা কুলসুম বেগমকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৬

প্রসূতি বিভাগে ঢোকা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশের সঙ্গে এক প্রসূতির পরিবারের লোকেদের মারপিটের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে। নিরাপত্তারক্ষীরা ওই প্রসূতির ভাই মহম্মদ আব্দুল রহিম, স্বামী মহম্মদ হুমায়ুন, মা রসেদা বিবি ও কাকিমা কুলসুম বেগমকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ। আব্দুলের মাথা ফেটে গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট লেগেছে। মারপিটে জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অমিত অধিকারী, মিঠুন দাস নামে দুই নিরাপত্তারক্ষী ও তপন দাস নামে এক পুরুষ আয়াও। অমিতের বুকে, মিঠুন ও তপনের বাঁ চোখে আঘাত লেগেছে।

হাসপাতাল সুপার গৌতম মণ্ডলের দাবি, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীরা ওয়ার্ডে ভিড় হঠাতে ও বেড়াল তাড়াতে লাঠি ব্যবহার করেন। লাঠি দিয়ে কাউকে মারার এক্তিয়ার তাঁদের নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।’’

রায়গঞ্জ থানার আইসি দীপেন তামাঙ্গ বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। লিখিত অভিযোগ জমা পড়লেও তা-ও খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, করণদিঘি থানার বাজারগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের হারভাঙা এলাকার বাসিন্দা অহেদা খাতুন তাঁর এক দিন বয়সী সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের প্রসূতি ও শিশুবিভাগে আলাদা করে ভর্তি করানো হয়।

মহম্মদ আব্দুল রহিম বলেন, ‘‘ভাগ্নির ছুটি হওয়ার পরে চিকিত্সকেরা তাকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। সেই মতো আমার মা ভাগ্নিকে নিয়ে দিদির কাছে যাওয়ার জন্য প্রসূতি বিভাগে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় এক নিরাপত্তারক্ষী মাকে ওয়ার্ডে ঢুকতে বাধা দেন। প্রতিবাদ করলে একদল নিরাপত্তারক্ষী বেধড়ক লাঠিপেটা করেন।’’

নিরাপত্তারক্ষী অমিত ও মিঠুনের পাল্টা দাবি, ‘‘ওয়ার্ডে ভিড় রুখতে প্রসূতির পরিবারের লোকেদের এক জনকে সদ্যোজাতকে নিয়ে ওয়ার্ডে ঢুকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সবাই জোর করে ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করেন। বাধা পেয়ে তাঁরা একদল লোককে সঙ্গে নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে নির্বিচারে লাথি ও ঘুষি মারেন।’’

Family Members Pregnant Beaten
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy