Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Criminal

Criminal: দুষ্কৃতীকে মারতে গুলি হুগলির হাসপাতালে, জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার চার হামলাকারী

গত শনিবার চুঁচুড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত বিচারাধীন বন্দি টোটন বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২২ ২২:৫১
Share: Save:

কুখ্যাত এক দুষ্কৃতীকে হাসপাতালে গুলি করার ঘটনায় জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার হলেন চার জন। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ওই চার জনকে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে থেকে পাকড়াও করেছে চন্দননগর কমিশনারেট ও জলপাইগুড়ি পুলিশের বিশেষ দল। ধৃত চার জনের নাম বাবু পাল, বাবাই পাল, শেখর দে এবং প্রসেনজিৎ ব্যাপারি।

গত শনিবার চুঁচুড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত বিচারাধীন বন্দি টোটন বিশ্বাসকে। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। টোটনের বুকের পাশে একটি গুলি লাগে। প্রাণভয়ে টোটন দৌড়ে গিয়ে প্রিজন ভ্যানে আশ্রয় নেন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তিন জন ব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কাছে রোগী সেজে অপেক্ষা করছিলেন। এর পর টোটনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হতেই তাঁকে নিশানা করে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ টোটনকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময় সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, বাবু পাল নামে এক দুষ্কৃতী তাকে মারার চেষ্টা করেছে। সোমবার সেই বাবু ও তাঁর সঙ্গীদেরই গ্রেফতার করল পুলিশ।

টোটনের মুখ থেকে বাবুর নাম শোনার পর থেকে তথ্য জোগাড় করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার দুষ্কৃতী বাবু ঘনিষ্ঠ ছিলেন টোটনেরই। বছর চারেক আগে সম্পর্কে ছেদ পড়ে। কিছু দিন আগে একটি মাদক মামলায় দু’জনেই গ্রেফতার হন। বাবু জামিনে মুক্ত হলেও জেলে থেকে যান টোটন। পুলিশের দাবি, খুনের পরিকল্পনা করতে গিয়ে টোটন-বিরোধী আরও বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন বাবু। সেই মতোই হামলা চালানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, টোটনকে গুলি করার পর ট্রেনে চেপে সোজা কাটোয়া যান দুষ্কৃতীরা। তার পর সেখান থেকে তাদের গন্তব্য হয় উত্তরবঙ্গ। তদন্তকারীরা জানান, বাবুর মোবাইল ট্র্যাক করে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীদের ধরা হয়েছে। তবে ‘হোয়াটসঅ্যাপ স্কুপ’ কলের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে ট্র্যাক করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। পরে গোপন সূত্রে জানা যায়, জলপাইগুড়িতে সঙ্গীদের সঙ্গে আত্মগোপন করেছেন বাবু।

সেই মতোই রবিবার রাতে জলপাইগুড়ি পৌঁছে যায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একটি দল। এর পরেই সোমবার বাবু ও তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হতে পারে ধৃতদের। যদিও এ বিষয়ে চন্দননগর পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Criminal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE