Advertisement
E-Paper

ফোন নিয়ে হলে, শাস্তি চার জনের

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজলের শ্যামসুখী হাইস্কুল পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তিনজন ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই! মাধ্যমিকের প্রশ্ন-ফাঁসের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পূর্ণশক্তি নিয়ে এবার নেমেছে মালদহ জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার উচ্চমাধ্যমিক শুরুর দিনেই পরীক্ষা চলাকালীন পৃথক দু’টি স্কুল থেকে চার ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত হল। চারজনেরই রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

তবে নিরাপত্তার কড়াকড়ির জেরে জেলার অনেক স্কুলে পরীক্ষা শুরুর আগে গোলমাল হয় বলে অভিযোগ। এতে নাকাল হতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। অনেক জায়গায় তল্লাশির দাপটে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ, বেশ কিছু জায়গায় পরীক্ষাকক্ষে ঢুকতে দেরি হয়ে যায় অনেকেরই। জেলার ১০৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টিই স্পর্শকাতর ঘোষিত। ওই কেন্দ্রগুলিতে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে পরীক্ষার্থীদের ঢোকাতে গিয়ে এ দিন হুলস্থুল বেধেছে অনেক পরীক্ষা কেন্দ্রেই। অভিযোগ, তল্লাশিতে অনেকটা সময় চলে যাওয়ার পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে সিট নম্বর খুঁজতে গিয়ে নাকাল হতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের অনেককেই। এমনকী, তল্লাশির সময় ঠেলাঠেলিতে কালিয়াচকের দাঁড়িয়াপুর বাইশি হাই মাদ্রাসায় এক ছাত্রী পরীক্ষা কক্ষে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের চলে আসার কথা থাকলেও অনেকে দেরিতে আসেন। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবকেরাও আসেন। এরপর এক এক করে তল্লাশি করে কেন্দ্রে ঢোকাতে গিয়ে গোলমাল বেধে যায়।

দাঁড়িয়াপুর বাইশি হাই মাদ্রাসায় আসন পড়েছিল কালিয়াচক গার্লস হাইস্কুল, জালালপুর হাইস্কুলের ছাত্রীদের ও বামনগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্রদের। মোট ৬১০ জন পরীক্ষার্থী। এক এক করে পুলিশ তল্লাশি করায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের আলাদা করে মাদ্রাসা চত্বরে লাইন করে দাঁড় করিয়ে পরিস্থিতি সামলান। এদিকে, ওই ভিড়ের মাঝেই পড়ে পরীক্ষার হলঘরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কালিয়াচক গার্লস হাইস্কুলের এক ছাত্রী। তাঁকে অভিভাবকেরাই সিলামপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। বাইশি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ তাজবুল হোসেন অবশ্য বলেন, “ওই ছাত্রী সম্ভবত অসুস্থ ছিলেন। তিনতলায় পরীক্ষার ঘরে গিয়ে তিনি পড়ে গিয়ে চোট পান। হাসপাতালে তাঁর পরীক্ষা করানো হয়।’’ পরীক্ষা চলাকালীন কালিয়াচক ১, ২ ও ৩ ব্লক, মানিকচক, রতুয়া এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাতে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হয়েছে বলে দাবি জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও শিক্ষা দফতরের।

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজলের শ্যামসুখী হাইস্কুল পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তিনজন ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তিনজনই আলাল হাইস্কুলের ছাত্র। পুরাতন মালদহ শহরের কালাচাঁদ হাইস্কুল থেকে এক ছাত্রের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মালদহের ওই চার ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।

Higher Secondary Mobile
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy