Advertisement
E-Paper

প্রশ্ন বিভ্রাটে ফের বিতর্ক

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ সহ দুই দিনাজপুরের মোট ২২টি কলেজে পরীক্ষা চলছে। ইলেকটিভ বাংলার পঞ্চম পত্রের মোট পরীক্ষার্থী প্রায় দশ হাজার। তার মধ্যে হাজার খানেক পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থী। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেতেই শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০৪:৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালো গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে শুরু হয় দ্বিতীয় বর্ষের ইলেকটিভ বাংলার পঞ্চমপত্রের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের নতুন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর জেরে পরীক্ষা দিতে পারলেন না বহু পরীক্ষার্থী।

এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছেন ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, ‘‘সিলেবাস কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করা হবে। সেই বৈঠকে গাফিলতি প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে ফের পরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে।’’

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ সহ দুই দিনাজপুরের মোট ২২টি কলেজে পরীক্ষা চলছে। ইলেকটিভ বাংলার পঞ্চম পত্রের মোট পরীক্ষার্থী প্রায় দশ হাজার। তার মধ্যে হাজার খানেক পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থী। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেতেই শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন।

মালদহ মহিলা কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা মালদহ কলেজের পুরনো সিলেবাসের ২৬ জন পরীক্ষার্থী দ্বারস্থ হন কলেজ কর্তৃপক্ষের। মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মন্দিরা চক্রবতীকে পড়ুয়ারা লিখিত ভাবেও বিষয়টি জানান। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের বিষয়টি জানান পরীক্ষার্থীরা।

শুধু মালদহ মহিলা কলেজই নয়, প্রশ্নপত্র বিভ্রাট নিয়ে অভিযোগ এসেছে সামসি কলেজ থেকেও। প্রশ্নপত্র নিয়ে বিভিন্ন কলেজে হইচই পড়ে যায়। বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে বেড়িয়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাসে পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। তাঁরা ২০১২-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়া। তাঁদেরও পুরনো সিলেবাসের বদলে নতুন সিলেবাস থেকে প্রশ্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাই উত্তর লেখা সম্ভব হয়নি। মালদহ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মন্দিরা চক্রবতী বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই ছেলে-মেয়েরা আমার কাছে ছুটে আসে। আমি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের বিভাগে জানিয়ে দিয়েছি।’’

controversy University of Gour Banga Gour Banga question paper wrong question paper গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় মালদহ Malda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy