মহানন্দা সেতু সংলগ্ন জায়গায় অতিকায় হোর্ডিং সরাতে পুরসভা উদ্যোগী না হওয়ায় উদ্বিগ্ন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। অতীতেও সেতুর অপর মুখে একই সংস্থার তরফে হোর্ডিং বসানোর তোড়জোড় শুরু হলে তিনি পুর কর্তৃপক্ষকে বলে তা আটকানোর চেষ্টা করেন।
কেন না সেতু লাগোয়া অংশে অতিকায় হোর্ডিং বসলে সুদৃশ্য পাহাড় যেমন দেখা যাবে না তেমনই দৃশ্য দূষণও ঘটবে। বাসিন্দারা বিশেষ করে পরিবেশপ্রেমীরা তা নিয়ে অভিযোগও তুলেছেন একাধিকবার। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে বিষয়টি দেখা উচিত। দৃশ্য দূষণ করে, পাহাড়ের মুখ ঢেকে হোর্ডিং কখনই বসতে পারে না। কে বা কারা এ ধরনের কাজ করছে তা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলছি।’’
মহানন্দা সেতুর যে অংশে হোর্ডিং বসানো হচ্ছে সেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো বলেন, ‘‘পুর কমিশনারকে বলেছি। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলা হয়েছিল। কেন দেরি হচ্ছে জানি না।’’
ইতিমধ্যে ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ কমল অগ্রবালও জানিয়েছেন, বেআইনি হোর্ডিয়ের বিরুদ্ধে শহরে লাগাতার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এই বিষয়ে পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়ার যুক্তি, ‘‘নোটিশ না-করে ভেঙে দিতে গেলে পুরসভার বিরুদ্ধে মালিকপক্ষ অভিযোগ তুলতে পারে।’’ তাই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রথম দফার নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।ঐঐঐ
এক সময় হোর্ডিং ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি অ্যাডভার্টাইজিং ফোরাম হয়। সংগঠনের মুখ্য পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কৃষ্ণ পাল এবং বর্তমানে বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। রঞ্জনবাবু বলেন,‘‘পুরসভার উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া। কেন ভাঙা হচ্ছে না ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদের সঙ্গে কথা বলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy