বিনয় তামাং
তৃণমূলের মতোই পাহাড়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করল বিনয়পন্থী মোর্চা। ইতিমধ্যেই পাহাড়ের বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে মোর্চা। এ বার সমস্যার কথা শুনতে প্রতিটি বুথে যাবেন দলের নেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, ওই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে জনসংযোগ অভিযান শুরু করেছেন অনীত থাপা। বিনয় জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন সকাল, বিকেল দার্জিলিং শহরের দলীয় কার্যালয় বসছেন। রাতে বাড়িতেও কথা বলছেন বাসিন্দাদের সঙ্গে। অনীতের দাবি, লোকসভা ভোটে হারের পরও নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে একাধিক পদক্ষেপ করেছে জিটিএ। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ী পদে নিয়োগ, পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ বার সেই উদ্যোগে বাড়তি কর্মসূচি হিসেবে যোগ হল জনসংযোগ যাত্রা।
মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগেই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা দার্জিলিঙে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই কোন এলাকায় কারা, কী ভাবে প্রচার করবেন, তার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। চা বাগানগুলিতে বিশেষ প্রচার চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের কার্যকারি সভাপতি জেবি তামাংকে। কালিম্পংয়ের জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির তিন নেতাকে। ঠিক হয়েছে, বিনয় ও অনীত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিটি ব্লকে সাংগঠনিক সভা করবেন। বিনয়পন্থী মোর্চার এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় কমিটি সার্বিক সমস্যাগুলি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট করবে। তার ভিত্তিতে কাজ করবে জিটিএ। দরকারে রাজ্যের সাহায্য চাওয়া হবে।’’
বিনয় বলেন, ‘‘জন সংযোগের কাজ জোরকদমে চলছে। সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে তাদের ভুল বুঝতে পারছে।’’ যদিও দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বার কটাক্ষ, ‘‘মানুষ যাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাঁরা জনসংযোগ করলেও লাভ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy