বন্ধ: তালা পড়েছে মদের দোকানে। জলপাইগুড়ি। নিজস্ব চিত্র
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধু সাধারণ দোকানই নয়, ঝাঁপ পড়ল সরকারি বার-এও।
মালবাজারে রাজ্য পর্যটন দফতরের যে টুরিস্ট লজটি রয়েছে, তার মদের দোকানের কাটতি যথেষ্টই। কিন্তু লজটি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মাত্র একশো মিটারের মধ্যে। তাই এ মাসের পয়লাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে লজের বারটি। পরে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, সর্বোচ্চ আলাদতের নির্দেশ মানতেই জনপ্রিয় বারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন বিধি মেনে ৫০০ মিটার দূরত্বে জমির খোঁজ চলছে। সরকারি জমি পাওয়া গেলেই ফের বার খোলার বিষয়টি ভাবা হবে, জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ারে পুলিশ-প্রশাসনের লোকজন অন্য সমস্যায় পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার জানান, এখানে মদের দোকান বন্ধ হলে ভুটানের পোয়া বারো। এমনিতেই ভুটানি মদের চাহিদা ভাল। ভারতীয় দোকান বন্ধ হলে পড়শি দেশের ব্যবসা বাড়বে।
আলিপুরদুয়ারের আবগারি দফতর এখনও সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জায়গায় ঝাঁপ পড়তে শুরু করেছে জাতীয়-রাজ্য সড়কের ধারের দোকানগুলোতে। যেমন, ধূপগুড়ি শহরের কাছে জাতীয় সড়কের কাছে ৯টি ধাবা, শহরের বাস স্ট্যান্ডে থাকা দোকান, চাঁচল, সামসি ও আলালের তিনটি দোকান। চাঁচলের এক দোকান মালিক পঙ্কজ ডালমিয়া বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। তার পরেই দোকানের জায়গা বদলাব।’’ এই সব এলাকায় চোরাই পথে মদ বিক্রি চলছেই। কোথাও কোথাও মুদিখানায়ও মদ মিলছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরেও জাতীয় সড়কের ধারে ধাবা ও দোকান বন্ধ করে দিয়েছে আবগারি দফতর। তবে ধাবার পাশে লুকিয়ে মদ বেচা চলছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy