অপেক্ষায়: মালদহে গ্রামোন্নয়ন ভবনে মনোনয়ন কক্ষে প্রশাসনের কর্মীরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। আসন নিয়ে আদৌ সমঝোতা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে। আর অন্যদিকে বুথে বুথে হন্য হয়ে প্রার্থী খুঁজছে বিজেপি। ফলে মালদহে এখনও কোনও দলই প্রার্থী তালিকা প্রাকশা করেনি। সব মিলিয়ে নির্বাচন ঘোষণার তিনদিন পরেও মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার হিড়িক নেই মালদহে।
বুধবার জেলার হাতেগোনা কয়েকটি আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। মনোনয়নের হিড়িক কম থাকায় চিন্তায় পড়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এক কর্তা বলেন, “ছুটির দিন বাদ দিলে মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ার পর্ব চলবে আর মাত্র তিনদিন। ওই ক’দিনে প্রবল চাপ তৈরি হবে।’’ ওই তিনদিনে সমস্ত আসনে রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী দেওয়া শুরু করলে বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রশাসনের কর্তারা।
মালদহ জেলা পরিষদে মোট আসন ৩৮টি। মালদহ ও চাঁচল মহকুমায় জেলা পরিষদ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। আর প্রতিটি ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার মালদহ সদর মহকুমা অফিসে জনা দশেক আধিকারিক, কর্মী বেলা ১১টা থেকে তিনটে পর্যন্ত বসেছিলেন। মাত্র দু’জন এ দিন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই ক’টা দিন গল্প করেই সময় কেটেছে। মনে হচ্ছে আগামী তিন দিন জলও খাওয়া যাবে না।’’ একই অবস্থা ব্লক অফিসগুলোতেও। ইংরেজবাজারে পঞ্চায়েত সমিতিতে দু’টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। গাজলে এখনও পর্যন্ত দুইস্তরে একটিও জমা পড়েনি। বামনগোলা ব্লকে শুধুমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১৮টি মনোনয়ন তোলা হয়েছে। একই অবস্থা হবিবপুর, কালিয়াচক ও মানিকচক ব্লকেও।
জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত, সব স্তরে এত আবেদন পড়েছে যে প্রার্থী বাছাই করতে হিমশিম খাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কালিয়াচকের বামনগ্রাম-মসিমপুরে প্রার্থী বাছাই নিয়ে চলেছে গুলি, তাতে প্রাণ গিয়েছে এক যুবকের। এ দিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আসন সমঝোতা হবে কিনা তা ভেবে চলেছে বাম ও কংগ্রেস। উল্টোদিকে, প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। আর তাঁরা কখন মনোনয়ন জমা দেবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন আধিকারিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy