(বাঁ দিকে) কার্যালয় ও (ডান দিকে) গাড়ি ভাঙচুর। —নিজস্ব চিত্র।
ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। ময়নাগুড়িতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন দলের দুই নেতা। একজন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার সহ সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত। অন্যজন তৃণমূল কংগ্রেসের ময়নাগুড়ি ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আজিজুল হক।
সংঘর্ষ চলাকালীন একটি গাড়ি এবং ছ’টি মোটরবাইক ভাঙচূর হয়। এই ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানায় ১৮ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার মধ্যে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার্স। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুকুমার মিশ্র বলেন, “ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুর বাজারে তৃণমূলের দু’টি পার্টি অফিস রয়েছে। একটি তৃণমূল কংগ্রেসের এবং অন্যটি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের। মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ অশান্তির সূত্রপাত। প্রথমে বচসা তারপর মারামারি শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে। শিবশঙ্কর দত্ত এবং আজিজুল হক মার খান। তাদের ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার দু’জনে পৃথকভাবে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুগামীদের নামে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্মপুর এলাকার সভাপতি শশাঙ্ক রায় বাসুনিয়া বলেন, “ঘটনার সময় আমি দাদার অসুস্থতার কারণে বাইরে ছিলাম। শুনেছি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে ওদের মারামারি হয়। ওরাও আমাদের সদস্যদের মেরেছে।” তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দোষী ব্যক্তিদের ধরার জন্য ময়নাগুড়ি থানার আইসিকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy