শিলিগুড়িতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমাল। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তাঁদের দলে যোগ দেওয়া এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম উঠে এসেছে। ওয়ার্ড সভাপতি সহ এলাকার পুরোনো তৃণমূল কর্মীরা এর বিরোধিতা করায় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। যদিও, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। এ দিনের ঘটনার পরে প্রধাননগর থানার সামনে তৃণমূল কর্মীরা ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধ করে রাখে। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি ভোলানাথ পান্ডে ঘটনাস্থলে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠলেও, গভীর রাত পর্যন্ত প্রধাননগর থানা ঘেরাও করে রাখে তৃণমূল কর্মীরা।
শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি ভোলানাথ পান্ডে বলেন, “মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অবরোধকারীদের কিছু অভিযোগ রয়েছে। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কয়েক মাস আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদের বিদায়ী সদস্য সঞ্জয় পাঠক। পুরভোটে সঞ্জয়বাবুর ১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সঞ্জয়বাবুর নাম উঠে আসে। তারপর থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দলে সদ্য যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের বিরোধ শুরু হয়। ওয়ার্ড কমিটির একাংশ নেতার অভিযোগ, এর জেরেই এ দিন ওয়ার্ড সভাপতি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়।
প্রার্থীপদ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব। তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। গোলমালের বিষয়ে খোঁজখবর করেছি। ।”
ঠিক কী ঘটেছে এ দিন?
এদিন রাতে শিলিগুড়ি জংশন এলাকার একটি হোটেলে তৃণমূলের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি গোপালবাবু এবং দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা নেতা উত্সব দাশগুপ্ত খাওয়া সারছিলেন। সে সময়েই ১০-১২ জনের একটি দল তাঁদের ইপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলায় উত্সববাবুর বুকে এবং মুখে আঘাত লাগে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার পরে তৃণমূলের তরফে অবশ্য বিজেপি কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কেউ জড়িত নয়। বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসু বলেন, “বিজেপির কেউ এতে জড়িত নয়। এটা তৃণমূলেরই অন্তর্দ্বন্দ্ব। ঘটনার মোড় ঘোরাতেই অন্যদিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে।”উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের টেন্ডার নিয়ে গোলমালের জেরে এই হামলা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy