Advertisement
E-Paper

কোচবিহারে পারিবারিক বিবাদের জেরে সংঘর্ষ! নিহত বিজেপি নেতা-সহ দুই, কোন্দলে ‘জড়িয়ে যাওয়ায় বহিষ্কার’ তৃণমূলের বুথ সভাপতিও

পারিবারিক কোন্দলের জেরে সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুই পরিবারের দু’জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন স্থানীয় বিজেপি নেতা। অপর জনও বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় নাম জড়ানোয় দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাও।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২২
কোচবিহারে পারিবারিক কোন্দলে দুই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু।

কোচবিহারে পারিবারিক কোন্দলে দুই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু। — প্রতীকী চিত্র।

কোচবিহারের মাথাভাঙায় পারিবারিক কোন্দলের জেরে সংঘর্ষে নিহত হলেন দুই পরিবারের দু’জন। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও চার জন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা-১ ব্লকের অন্তর্গত হাজরাহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাসী এলাকায়। নিহতদের মধ্যে একজন বিজেপির যুব মোর্চার মণ্ডল সহসভাপতি। সূত্রের দাবি, অপর জনও বিজেপি সমর্থক। তবে ওই পারবারিক বিবাদে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতিরও। ঘটনার পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

বালাসীর বাসিন্দা মানব সরকার বিজেপির যুব মোর্চার স্থানীয় মণ্ডলের সহসভাপতি। মানবের আত্মীয় যাদব সরকারও ওই এলাকারই বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দু’জনের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালেও গোলমাল শুরু হয় দুই পরিবারের। প্রথম তর্ক বিতর্ক, পরে তা সংঘর্ষের আকার নেয়। ঘটনায় জখম অবস্থায় ৬ জনকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানব এবং যাদবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দুই পরিবারের এই বিবাদে নাম জড়িয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দা সুধীর শিকদারেরও। তিনিও ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। সুধীর ওই এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। ঘটনায় তাঁর নাম জড়ানোর পরে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সমাজমাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, ‘পারিবারিক বিবাদে জড়িয়ে যাওয়ার জন্য’ সুধীরকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, নিহত যাদবও বিজেপিরই সমর্থক ছিলেন। তবে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বিজেপির ওই এলাকার মণ্ডল সভাপতি বিমল বর্মণ বলেন, “যে দু’জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মানব সরকার বিজেপির যুব মোর্চার মণ্ডল সহসভাপতি ছিলেন। আহতেরাও বিজেপি কর্মী।” তাঁর দাবি, পারিবারিক বিবাদের কারণে এই সংঘর্ষ হলেও যাঁরা হামলা চালিয়েছেন, তাঁরা শাসকদলের লোক।

বৃহস্পতিবারের এই ঘটনা প্রসঙ্গে মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক একটি সংঘর্ষ। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার তাঁদের কোচবিহার মেডিকেল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।

Murder Case Chaos Family Conflict Cooch Behar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy