Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জিম মালিকের দাবি, ষড়যন্ত্র

সঙ্গীতা কুণ্ডুর অন্তর্ধান রহস্যের আড়ালে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে তদন্তের আর্জি জানালেন জিম মালিক-পার্লারের কর্ণধার পরিমল সরকারের স্ত্রী ও স্বজনেরা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

কিশোর সাহা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৪২
Share: Save:

সঙ্গীতা কুণ্ডুর অন্তর্ধান রহস্যের আড়ালে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে তদন্তের আর্জি জানালেন জিম মালিক-পার্লারের কর্ণধার পরিমল সরকারের স্ত্রী ও স্বজনেরা। সোমবার বিকেলে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচার সঙ্গে দেখা করে জিম মালিকের স্ত্রী সহ কয়েকজন ওই অভিযোগপত্র দিয়েছেন। তাতে সঙ্গীতা অতীতেও অন্তত দুবার দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিলেন কেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার জানান, সব তথ্য, অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিমের কর্ণধারের পরিবারের পক্ষ থেকে তোলা অভিযোগও তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে সিপি।

তবে নিখোঁজ তরুণীর দাদা শম্ভুবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার বোনের হদিশ পেলেই বোঝা যাবে আড়ালে কে বা কারা! আমাদের কাকে সন্দেহ সেটা তো লিখিত ভাবে জানিয়েছি। অতীতের ঘটনা টেনে এনে সব লঘু করার চেষ্টা হচ্ছে কি না, সেটা পুলিশকে দেখতে হবে।’’

গত ১৭ অগস্ট নিখোঁজ হন শিলিগুড়ির একাধিক জিম-পার্লারের সংস্থার কর্মী ওই তরুণী। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে ওই তরুণী পরিমলবাবুর অফিসের উপরে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। সেখানে নাচের স্কুলও খুলেছিলেন। ২৬ অগস্ট পরিমলবাবু ভক্তিনগর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। তরুণীর বাড়ির লোকজন ৫ সেপ্টেম্বর পরিমলবাবুর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে হইচই শুরু হয়।

এই অবস্থায়, নিখোঁজ তরুণী ও পরিবারের ভূমিকা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পরিমলবাবুর বাড়ি ও সংস্থার লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশি জেরার মুখে পড়ায় সংস্থার অনেকেই বিব্রত ও শঙ্কিত। সংস্থার কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ২০০ জন কর্মহীন হয়ে পড়বেন বলে কর্মীরা জানিয়েছেন। পরিমলবাবুর স্ত্রী বলেন, ‘‘আমার স্বামী নিরাশ্রয় মেয়েটাকে বিশ্বাস করে চাকরি ও আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি কেন অপহরণ করতে যাবেন! কাউকে চাকরি দিয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া কি অন্যায়? আমাদের পরিবারকে কে বা কারা অমর্যাদা করার চেষ্টা কারা করছে তা নিয়ে তদন্ত হোক।’’

পরিমলবাবুর এক দাদা পেশায় শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘ওই তরুণীর মা পুলিশকে জানিয়েছেন, ৭-৮ মাস আগে মেয়ে বলেছিল, তাঁর কিছু হলে পরিমল দায়ী থাকবে। তখনই পুলিীশকে জানাননি কেন সেটা তদন্ত হলেই অভিযোগ ঘটনা যে ঠিক নয় তা বোঝা যাবে। সব জানিয়ে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

gym sangita missing case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE