E-Paper

ভোগান্তির শেষ নেই রোগীদের

এ দিনও রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান মালদহ ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সোমবার বিশ্ব নবি দিবসে রোগীর ভিড় কম থাকলেও, দুর্ভোগ অব্যাহত মালদহ ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে এখনও কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ফলে, জরুরি বিভাগ, অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড় সামলাতে হচ্ছে সিনিয়র চিকিৎসকদের। যার প্রভাব পড়েছে পরিষেবায়। রায়গঞ্জ মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিৎসদের কর্মবিরতি না থাকলেও, লিফ‌্ট বিকল হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায় হয়রান হতে হয় রোগীদের।

যদিও এ দিনও রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান মালদহ ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিক্যালের সুপার প্রসেনজিৎ বর বলেন, “সিনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁদের ‘রস্টার’ অনুযায়ী, হাসপাতালে রোগী দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, লিফ‌্ট মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ দিনও মালদহ মেডিক্যালের ‘ট্রমা কেয়ার ইউনিট’-এর সামনে কর্মবিরতি পালন করে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বিক্ষোভ মঞ্চেই চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের ক্লাস নেন মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্টরা (স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ চিকিৎসক)। সন্ধেয় ‘ট্রমা কেয়ার ইউনিট’-এর সামনে মানববন্ধন করে শহর পরিক্রমা করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

এ দিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের। তাঁদের দাবি, বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য গিয়ে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অসুস্থ শরীরে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগে জুনিয়র চিকিৎসকেরা সব সময় তাঁদের সাহায্য করেন। জুনিয়রেরা কর্মবিরতি পালন করায় তাঁদের বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে।

রায়গঞ্জ মেডিক্যালে এ দিনও রোগী ও তাঁদের পরিবারের ব্যবহারের একটি লিফ‌্ট বিকল ছিল। ফলে, সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত বহির্বিভাগের ফার্মাসিতেও বিভিন্ন সাধারণ রোগের ওষুধ মিলছে না। রায়গঞ্জের শীতগ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলি বলেন, “মেডিক্যালে সাধারণদের একটি লিফ‌্ট খারাপ ছিল। আর একটি লিফ‌্টে ওঠা-নামার ভিড় থাকায় অসুস্থ এক আত্মীয়কে সিড়ি দিয়ে হাঁটিয়েই তিন তলার বহির্বিভাগে নিয়ে যেতে বাধ্য হই।”

তথ্য: অভিজিৎ সাহা ও গৌর আচার্য

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Malda raiganj

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy