Advertisement
E-Paper

বৃষ্টি চলছেই, দুর্যোগে মৃত্যু

টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীগুলি ফুঁসছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৩টি পৃথক এলাকায় নদীতে তলিয়ে গিয়েছেন ১ কিশোরী সহ ৩ জন। বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরী সহ দু’জনের।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০১:৪৫
সাহু নদীর জলে প্লাবিত হাতিয়াডাঙা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

সাহু নদীর জলে প্লাবিত হাতিয়াডাঙা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীগুলি ফুঁসছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৩টি পৃথক এলাকায় নদীতে তলিয়ে গিয়েছেন ১ কিশোরী সহ ৩ জন। বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরী সহ দু’জনের। উত্তর দিনাজপুরের কানকি এলাকায় পুলিশ পাঁড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তরাই-ডুয়ার্সের ৫টি এলাকায় অন্তত ৪০০ বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোচবিহারেও তোর্সায় লাল সঙ্কেত জারি হয়েছে। ২০০ পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে মাল নদীতে নেমে প্রবল স্রোতে তলিয়ে গিয়েছেন কুজি মুন্ডা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার সকালে চাকুলিয়া থানার খেকিটোল এলাকায় নার্জাত খাতুন (১৩) নামে এক কিশোরী গরু চরাতে গিয়ে নদীতে নেমে তলিয়ে যায়। পরে তার দেহ মেলে। এদিনই সকালে বীরপাড়ায় বাংরি নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় রজত মিনজ (৩০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির। ওই দিন বিকেলে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বারদুয়ারি গ্রামে বাজ পড়ে এক কিশোরী সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম আবদুল মাসুদ (৪৫) ও মিনা খাতুন (১৪)। এরা দুজনেই প্রতিবেশী।

বাড়ছে জল

ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে নদী গুলির জল স্তর বাড়ছে। আলিপুরদুয়ারের কাছে তোর্সায় লাল সঙ্কেত জারি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের কালজানি ও সঙ্কোশ নদীতে হলুত সঙ্কেত জারি হয়েছে। জল বাড়ছে ধূপগুড়ির জলঢাকা, ডুডুয়া, গিলান্ডি ফালাকাটার মুজনাই, বিরকিটি নদীর জল। জলঢাকা নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে মাল নদীতে নেমে প্রবল স্রোতে তলিয়ে গিয়েছেন কুজি মুন্ডা (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

বন্দি অনেকে

তোর্সা নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় টাকাগাছ, ঘুঘুমারি সহ কোচবিহার পুরসভার একটি অংশে জল ঢুকে যায়। অন্তত ৩০০ পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। প্লাবিত হল ডুয়ার্সের বানারহাট, বিন্নাগুড়ির প্রায় ১২০০ বাড়িঘর। ময়নাগুড়ির পদমতি ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও দোহমনি এলাকার বেশ কিছু এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷ উত্তর পদমতি এলাকায় নতুন করে প্রচুর কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে ৷ তিনটি এলাকায় গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কিছু পরিবারকে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ইস্টার্ন বাইপাসের হাতিয়াডাঙ্গায় নদীর চরে ৩০০টি ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে।

আগুন সব্জি

টানা বৃষ্টিতে কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় সব্জির জোগানে টান পড়েছে। খেতের গাছের গোড়া পচে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সব্জির দামের পারদ চড়ছে । ব্যবসায়ীরা জানান, লঙ্কা কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙে ২৫-৩০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ২৫-৩০টাকা, রসুন ১২০-১৫০ টাকা, পেঁয়াজ ২০ টাকা, স্কোয়াশ ২৫-৩০ টাকা, মূলো ৫০-৬০ টাকা, করলা ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি চালকুমড়ো ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে লাউ, পুঁই, ঢেঁকি সহ বিভিন্ন শাকের দামও। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ওই সব সব্জির দাম গড়ে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ কম ছিল।

ধসে দুর্ভোগ

পাঙ্খাবাড়ির রাস্তায় অন্তত তিন জায়গায় ছোট মাপের ধস নামে শুক্রবার। সেবকের কাছেও কালীঝোরায় ছোট ও বড় মাপের ধস। তা সরাতে গড়িমসির অভিযোগ। যান চলাচলে দুর্ভোগ। কালিম্পঙের লাভা থেকে লোলেগাঁওয়ের রাস্তাতেও ছোট মাপের ধস নামে। বাসিন্দারাই সরিয়ে দেন। মিরিকের রাস্তায় কয়েকটি ছোট পাথর গড়িয়ে পড়ায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পথচলতি গাড়ির চালকরা মিলে তা সরিয়ে খাদে ফেলে দিলে রাস্তা স্বাভাবিক হয়।

Flood Thunderstorm Rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy