বৃষ্টির জেরে খদ্দেরের দেখা নেই। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর আগেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে আসন্ন উৎসবের আনন্দ মাটি হওয়ার জোগা়ড়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুজোর মুখে ফের বৃষ্টিতে প্যাণ্ডেল তৈরি করা বা অন্যান্য আয়োজনের কী হবে, তা ভেবেই মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের। চিন্তার ভাঁজ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কপালেও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকেই জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার-সহ উত্তরের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যার জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। লাগাতার বৃষ্টিতে ওই জেলাগুলির বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমেছে। বন্ধ রাখতে হয়েছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজও। অন্য দিকে, দুর্যোগের আশঙ্কায় স্থানীয় বাজারেও ভিড় নেই ক্রেতাদের। ফলে পুজোর মুখেই লোকসানের চিন্তা ব্যবসায়ীদের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার থেকে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে উত্তরের নদীগুলির জলস্তর বাড়ার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারাও। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে চলতি বছর ৪১টি পুজো হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় সে সংখ্যাটি ১৩৬। তবে কোনও মণ্ডপের কাজই শেষ হয়নি। সুখরঞ্জন হালদার নামে ধূপগুড়ির এক মণ্ডপশিল্পী বলেন, ‘‘খুব চিন্তায় পড়েছি। এই বৃষ্টিতে কী ভাবে পুজো হবে? সময় মতো প্যান্ডেলের কাজ শেষ করতে পারব কি না, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’’ এলাকার পুজো উদ্যোক্তা অভিজিৎ চক্রবর্তীও একই চিন্তায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পুজোর মুখে দুশ্চিন্তা বাড়ছে কোচবিহারের স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও। জেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী জাবেদ খান বলেন, ‘‘আগের বছর যে পরিমাণ জামাকাপড় নিয়ে আসা হয়, এ বার সে তুলনায় অর্ধেক নিয়ে এসেছি। এমনিতেই বাজারে মানুষজন কম, তার উপর শনিবারের বৃষ্টিতে পুজোর বাজার নষ্ট হয়ে গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy