কোচবিহার জেলার মানসাইয়ের পর এবার জলপাইগুড়ি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তাতে মিলল ইলিশ৷ মণ্ডলঘাট এলাকায় তিস্তা নদীতে এক মৎস্যজীবীর ফেলা জালে আটকে গেল প্রায় পাঁচশো গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ৷ মাছটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৎস্য দফতরের কর্তারাও জানিয়েছেন সেটি ইলিশই৷
দিন দশেক আগে মাথাভাঙায় মাইনসাই নদীতে ইলিশ মাছের দেখা মেলে৷ পাশাপাশি কোচবিহার জেলারই তুফানগঞ্জেও কালজানি নদীতে পাওয়া যায় ইলিশ৷ এই অবস্থায় জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীতে মাত্র একটি ইলিশ মাছের দেখা মিললেও, মৎস্যজীবী বা মৎস্য দফতরের কর্তাদের আশা, শীঘ্রই তিস্তায় আরও ইলিশের দেখা মিলতে পারে৷ জলপাইগুড়ির মৎস্য দফতরের কর্তারা বলেন, আগামী কিছুদিন বিষয়টিতে নজর রাখতে হবে৷
জানা গিয়েছে, মণ্ডলঘাটের তাঁতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা কমল সরকার নামের এক মৎস্যজীবীর জালে রবিবার বিকালে ইলিশ মাছটি ধরা পড়ে৷ ওই দিন মাছটি তিনি বাড়িতে ফ্রিজে রেখে দেন৷ এর পর এ দিন সকলকে জানান৷ তিস্তায় ইলিশ ধরা পড়েছে জানতে পেরে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ৷ খবর পেয়ে ছুটে যান মৎস্য দফতরের আধিকারিকেরা৷ সহ মৎস্য অধিকর্তা আশিস সাহা বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত যে, এই মাছটি ইলিশই৷’’
কমল সরকার বলেন, ‘‘বংশ পরম্পরায় মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত৷ কোনও দিন আমার বংশের কারও জালে ইলিশ ধরা পড়েনি৷ রবিবার সেটা হওয়ায় আমার জীবন সার্থক মনে হচ্ছে৷’’ মৎস্য দফতরের কর্তারা বলেন, অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীতে এই মুহূর্তে প্রচুর ইলিশ মিলছে৷ সেই নদী থেকেই হয়তো কোনও ভাবে ইলিশ তিস্তায় চলে এসেছে৷ আশিসবাবুর কথায়, ডিম পারার সময় ইলিশ মিষ্টি জলে যায়৷ তাই ধারণা, ডিম পাড়তেই হয়তো ওই মাছটি একা বা আরও একঝাঁক ইলিশের সঙ্গে তিস্তায় ঢুকে পড়েছিল৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy