হাতে আর সময় নেই। আজ শুক্রবারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেই কোচবিহার-কলকাতা উড়ান চালু নিয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান লক্ষ্য। তোড়জোড় চলছে সব স্তরেই।
বিমানবন্দরের কনফারেন্স হলে ওই বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধায়। থাকবেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা ও যে বেসরকারি সংস্থা বিমান চালাতে রাজি হয়েছে সেই ‘এয়ার ডেকান’ এর আধিকারিকরাও।
১৯ জুলাই থেকে বিমান পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “হাতে আর মাসখানেক সময় আছে। তার মধ্যেই যা কিছু সমস্যা আছে তা মিটিয়ে নিতে হবে।” কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই কোচবিহারে বিমান চলাচল শুরু হতে চলেছে। তিনি নানা কাজে আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন। বিষয়টি সংসদে তুলে ধরা হয়েছে।”
১৭১ একর জমির উপরে তৈরি করা হয়েছে কোচবিহারের ওই বিমানবন্দর। এখন সেখানে ১০৬৯ মিটার রানওয়ে রয়েছে। তাতে ছোট বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে নেই। আপাতত ১৮ আসনের বিমান চালানোর কথা এয়ার ডেকান এর। তাতে এখনকার পরিকাঠামোতে কোনও সমস্যা হবে না। বড় আসনের বিমান চালাতে আরও ২৩০ মিটার রানওয়ে আরও বড় করতে হবে। সে ব্যাপারে কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। ১৮ আসনের বিমানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ভর্তুকি দেবে। আপাতত ৯ টি আসনে ওই ভর্তুকি দেওয়া হবে। দুই সরকার উদ্যোগী হওয়ায় এ বার আশার আলো দেখছেন কোচবিহারের বাসিন্দারা। তাঁদের আশা, এ বার অন্ততপক্ষে চালু হওয়ার পরেই তা বন্ধ হয়ে যাবে না।
কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্পাদক রাজেন বৈদ বলেন, “এ বার বিমান চলাচল স্থায়ী হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে কোচবিহার-কলকাতা সরাসরি উড়ান চালু রাখতে হবে। সবদিক ভেবেচিন্তে কাজ হলে যাত্রী নিয়ে কোনও সমস্যাই হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy