পরীক্ষার ‘ফি’ দেওয়ার রসিদ হাতে শুভম। —নিজস্ব চিত্র।
অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারল না শিলিগুড়ির মার্গারেট সিস্টার নিবেদিতা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এক পরীক্ষার্থী। স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই পরীক্ষায় বসতে পারেনি বলেই অভিযোগ শুভম দত্ত নামে ওই ছাত্রের।
পরীক্ষায় বসার জন্য নির্ধারিত ‘ফি’ জমা দেওয়ার পরেও অ্যাডমিট কার্ড পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে ওই ছাত্র। শুভমের দাবি, ফর্মে সই না থাকায় তাঁর অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। স্কুলের তরফ থেকে অবশ্য সমন্বয়ের অভাবেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্বীকার করেছে। ছাত্রটি পরীক্ষায় না বসতে পারায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপপ্রসাদ রায়।
শুভম চতুর্থ শ্রেণি থেকেই এই স্কুলের ছাত্র। গত বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন সে। কলা বিভাগের ছাত্র শুভম বাকি সমস্ত বিষয়ে পাশ করলেও বাংলা ও অর্থনীতি বিষয়ে পাশের জন্য ন্যূনতম নম্বর পায়নি বলে জানা গিয়েছে। এ বছর ওই দুটি বিষয়ে ফের পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়াতে পরীক্ষায় বসা হল না তার। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বহিরাগত ছাত্র হিসেবে পরীক্ষায় বসার জন্য ফর্ম ভরে। পরীক্ষার ‘ফি’ বাবদ ১০৫ টাকা জমা দেন। তার রসিদও দেওয়া হয় তাকে। এরপরে তাকে স্কুল থেকে কর্তব্যরত করণিক বা অন্য কেউ কোনও ফর্মে সই করতে বলেনি বলে দাবি করেছে শুভম।
তার অভিযোগ, “আমি টাকা জমা দেওয়ার পর আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমিও চলে আসি। পরে গত সোমবার অ্যাডমিট র্কাড আনতে গিয়ে জানতে পারি আমরা কার্ড আসেনি, কারণ আমার ফর্মে সইই হয়নি।”
ছাত্রের মা আলপনাদেবীর দাবি, “ছেলে স্কুলে দুষ্টামি করলে কিংবা অসুস্থ হলে স্কুল থেকে ফোন করে সমস্ত জানানো হয়। আর এত বড় একটা ঘটনা, একটা ছেলের ভবিষ্যত যেখানে জনিয়ে সেখানে স্কুল এত উদাসীন থাকল কী করে?” স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ভুল হয়ে হয়েছে বলে স্বীকার করেন। প্রধান শিক্ষক প্রদীপবাবু বলেন, “কেউ টাকা জমা দিলেই হয় না। ফর্মে সই করতে হয়। তবে টাকা জমার পরে সই করার ব্যপারে পুরোনো ছাত্র হিসেবে তাঁর জানা উচিত ছিল।” তিনি জানান, অনেকে এক বছর আটকে যাওয়ার পরে পরের বছর অনেক সময় পরীক্ষায় বসে না। তাই সই হয়নি বলে কেউ সন্দেহ করেননি।
প্রধানশিক্ষক অবশ্য বলেন, “ফর্ম ও পরীক্ষার ফি এর রসিদ মিলিয়ে দেখা হয় না। তবে এবার থেকে তা মেলানো শুরু করতে হবে।”
পরীক্ষায় বসতে না পেরে ওই পরীক্ষার্থী শুভম দত্ত হতাশায় ভেঙে পড়েছেন বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এবারে পরীক্ষায় বসতে না পারায় এক বছরের পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়েও কাজে লাগল না বলে আক্ষেপ করেছে সে। শুভমের বাবা নীলুবাবু পেশায় গাড়ি চালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy