বিরিকিটি নদীর জলে ডুবেছে রাস্তা। — নিজস্ব চিত্র।
ভুটান পাহাড়ে হওয়া বৃষ্টির জেরে জলস্রোত বাড়ছে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীতে। তার জেরে কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল ঢুকেছে কয়েকটি জনবসতি এলাকায়। পাশাপাশি, কিছু এলাকায় চাষের জমিও এখন জলের তলায় চলে গিয়েছে। রবিবার ধূপগুড়িতে এবং ফালাকাটায় জলে তলিয়েগিয়েছে দুই কিশোর।
দক্ষিণবঙ্গে মেঘলা আকাশ। তবে বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। এর মধ্যে আশঙ্কা বাড়িয়েছে ভুটানে লাগাতার বৃষ্টি। তার জেরে আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার কয়েকটি নদীতে জলস্রোত এখন প্রবল। তিস্তা এবং জলঢাকা নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি করেছে প্রশাসন। ডুডুয়া এবং গিলান্ডি নদীর জল উপচে গ্রামে ঢুকেছে। তার জেরে জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা চাষের জমি। ধূপগুড়ি ফালাকাটা ব্লক লাগোয়া জুরাপানি এলাকায় ডুডুয়া নদীর জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। এমনকি ডুডুয়া নদীর স্রোতে ভাঙন শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। রবিবার সকাল থেকে ধূপগুড়িতে নতুন করে বৃষ্টি হয়নি। তবে পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে এখন জলস্তর বাড়ছে নদীগুলির। অন্য দিকে, ফালাকাটার গোয়াবরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরকিটি এবং মুজনাই নদীর জলস্তর কিন্তু এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। বিরকিটি নদীর জল ঢুকে পড়েছে ক্ষীরেরকোট এবং চাঁদপুর গ্রামে। জলের তলায় ওই গ্রামের ভুট্টা, সর্ষে এবং পাটের জমি। হাঁটুজল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের।
রবিবার ধূপগুড়ির এক কিশোর প্রমোদনগর কলোনি সংলগ্ন গিলান্ডি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তলিয়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা যায়নি। নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
রবিবার সকালে কোচবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তোর্সা নদী থেকে হলুদ সঙ্কেত তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও রায়ডাক ১ এবং মানসাই নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি রয়েছে। শনিবার রাত থেকে এক টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাহাড়ে। বিগত সপ্তাহ থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ সিকিমে একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy