Advertisement
E-Paper

অকাল বৃষ্টি, ভাসল উত্তর

একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জলে থই থই করছে মালদহের বৃন্দাবনী মাঠ। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে পুরো মাঠ জলে ভরে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৮ ১০:৪২
চাঁচলে জাতীয় সড়কের অবস্থা। নিজস্ব চিত্র

চাঁচলে জাতীয় সড়কের অবস্থা। নিজস্ব চিত্র

একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জলে থৈ থৈ করছে এলাকা। নিকাশি ব্যবস্থার আসল রূপ পরিষ্কার মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই। জেলা সদর, চাঁঁচল বা ইসলামপুর— এই রকমই চিত্র দেখা গেল মালদহের বিভিন্ন জায়গায়।

জলে থই থই মাঠ

একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জলে থই থই করছে মালদহের বৃন্দাবনী মাঠ। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে পুরো মাঠ জলে ভরে যায়। মাঠের এই অব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই একটু বৃষ্টি হলেই বেহাল হচ্ছে এই মাঠ।

মালদহ জেলা সদরে খেলাধুলার মাঠ বলতে বোঝায় বৃন্দাবনী মাঠ ও লক্ষণ সেন স্টেডিয়ামকে। কয়েক বছর আগে ক্রীড়া দফতরের তরফে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বৃন্দাবনী মাঠের সংস্কারও করা হয়েছিল। মাঠের চারদিকে নিকাশির ব্যবস্থাও গড়ে ওঠে। এই মাঠে জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মেলা হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন ভোর হলেই অসংখ্য মানুষের শরীরচর্চার জায়গা এই মাঠই। জানা গিয়েছে, এ দিন মাঠে জল দাঁড়ানোর বিষয়টি প্রশাসনের কর্তাদেরও নজরে আসে। সদর মহকুমা শাসক পার্থ চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিকাশি বুজেছে

সোমবার সকালে হঠাৎ বৃষ্টিতে জলমগ্ন ইসলামপুর শহর। জলমগ্ন শহরের ছবি দেখে ভরা বর্ষার চিন্তায় আশঙ্কিত বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোথাও নিকাশি নালার সংস্কারের কাজ নিম্ন মানের, কোথাও তা ঢেকে গেছে আবজর্নায়। অভিযোগ, এর জেরে পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাঁদের দাবি, বেশ কিছু ওয়ার্ডে এখনও জল নিকাশির ব্যবস্থা করা হয়নি। মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। জল জমে কোর্ট চত্বরেও। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে হাইড্রেন থাকলেও তা আবর্জনায় ঢেকে রয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন নাগিনা বেগম বলেন, ‘‘ওয়ার্ডগুলিতে কাজ চলছে। ড্রেনগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। বর্ষার আগেই সতর্কতা নেওয়া হবে।’’

জাতীয় সড়ক ‘নদী’

রাস্তার একাংশে নর্দমা থাকলেও নেই আউটলেট। আবার কিছু অংশে বালাই নেই নিকাশি নালার। ফলে জাতীয় সড়ক তৈরি হওয়ার পর প্রথম বর্ষাতেই ভাসল মালদহের সামসি।

রবিবার রাতে ও সোমবার সকালে বৃষ্টির জেরে জাতীয় সড়কে জল জমে যায়। সড়ক লাগোয়া হাসপাতালের সামনেও জল জমায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। এখনও বাকি বর্ষা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের বাধাতেই সমস্যা রয়ে গিয়েছে বলে পাল্টা দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। চাঁচলের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।’’

Weather Update Rain Storm
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy