Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট মানবাধিকার কমিশন

নারী পাচারের মতো ঘটনা রুখতে রাজ্য সরকার সক্রিয়। এমনটাই দাবি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের। বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা প্রচারের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাপরাজিত মুখোপাধ্যায় জানান, ওই কাজের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার।

সেমিনারে রাজ্য মানবাধিকারিক কমিশনের চেয়ারম্যান নাপরাজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

সেমিনারে রাজ্য মানবাধিকারিক কমিশনের চেয়ারম্যান নাপরাজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৬ ০৮:০৯
Share: Save:

নারী পাচারের মতো ঘটনা রুখতে রাজ্য সরকার সক্রিয়। এমনটাই দাবি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের। বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা প্রচারের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাপরাজিত মুখোপাধ্যায় জানান, ওই কাজের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে নারী, শিশু পাচার রুখতে নতুন আইন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তরফেই ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘নারী পাচারের মতো বিষয় রুখতে নতুন আইন হচ্ছে। একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গড়া হয়েছে। তাতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা, মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব থাকছেন। নারী পাচার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা মেটাতে ওই কমিটি কার্যকর হবে। নারী পাচারের মতো বিষয়ে রাজ্য সরকার ওয়াকিবহাল রয়েছে।’’

উত্তরবঙ্গের চা বাগান এলাকা থেকে নারী পাচার, শিশুকিশোর পাচারের নানা অভিযোগ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েও অনেক ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে রয়েছে শিশুশ্রমের অভিযোগও। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, নারী পাচার নিয়ে কিছু অভিযোগ তাঁদের কাছেও এসেছে। পুলিশের কাছে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। মানুষ পাচারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান গঙ্গোত্রী চক্রবর্তী-সহ অন্য বক্তারা। আলোচনায় অংশ নেন জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি রাজেশ কুমার যাদব, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি এস লেপচা।

পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক থেকে বিভিন্ন থানার ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, সংশোধনাগারের বিভিন্ন কর্মী আধিকারিক, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি, স্কুল পরিদর্শকদরাও সেমিনারে অংশ নেন। ছিলেন আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জলপাইগুড়ি জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

নারী পাচার, শিশুশ্রমের পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি দখলের মতো ঘটনাও আলোচনায় উঠে আসে। কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে অভিযোগ পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। পাশাপাশি অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে তা না নেওয়া, পেনশনের নথি তৈরি হতে পাঁচ ছয় মাস লেগে যাওয়া, নাবালিকা মেয়েকে কাজের টোপ দিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া, এই সমস্ত রকম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন বক্তারা। সংশোধনাগারে বন্দিদের সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগও ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Human Rights commission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE