উত্তপ্ত নেপাল। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েই তাই সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর নির্দেশে তড়িঘড়ি এসএসবি আধিকারিকদের সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করতে গেলেন রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকেরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট যোগেশকুমার সিংহের সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন উত্তরবঙ্গে আইজি রাজেশকুমার যাদব, দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর পরেই পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে খোঁজখবর নেন মমতা। তার কিছু ক্ষণ পর জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরবঙ্গের আইজি ইন্দো-নেপাল সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীমান্ত পরিদর্শনে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে এসএসবি-র আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। নৌকাঘাট মোড় থেকে খড়িবাড়ির ইন্দো-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কিতে যান আইজি।
জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকের পরে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। সক্রিয় হতে বলা হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগকেও। নেপালের দিকে যে কোনও রকম তথ্য যাতে দ্রুত মেলে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেচি নদী এলাকাটির নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত এসএসবি জওয়ান মোতায়েন করে ঘিরে ফেলা হয়েছে। নেপালের আন্দোলনকে হাতিয়ার করে যাতে দেশবিরোধী কোনও ঘটনা না ঘটে কিংবা কোনও অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকতে না-পারেন সে দিকে লক্ষ রাখা হবে। এসএসবি-র সহযোগিতায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
সীমান্ত সংলগ্ন প্রত্যেক থানায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হবে। আইজি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ভারতের দিকে কোন অশান্তির খবর নেই। আমরা সতর্ক রয়েছি। এসএসবি-র সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতা করে এবং যোগাযোগ রেখে কাজ করা হবে। সীমান্ত সংলগ্ন সমস্ত থানাকে সতর্ক রাখা হয়েছে। আমরা গোয়েন্দা বিভাগকেও সতর্ক করেছি। নেপালের কাস্টমস এবং অভিবাসন কার্যালয়ে আক্রমণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। সে কারণে সাময়িক ভাবে সীমান্ত দিয়ে পারাপার বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’