উদ্ধার: তোলা হচ্ছে শাবককে। নিজস্ব চিত্র
জল খেতে এসে এমন বিপত্তি বাধবে তা বোধ হয় বুঝতেই পারেনি সে। মায়ের সঙ্গে জল খাওয়ার সময় কোনওভাবে জলাধারে পড়ে যায় হস্তিশাবকটি। শনিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের ভার্নাবাড়ি চা বাগানের দশ নম্বর সেকশনের ঘটনা।
রবিবার ভোরে হাতিদের চিৎকার শুনে ভার্নাবাড়ি দশ নম্বর সেকশনের বাসিন্দারা গিয়ে দেখতে পান পাকা জলাধারে পড়ে খাবি খাচ্ছে শাবকটি। তখন প্রায় সাড়ে চারটে। খবর যায় হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জ অফিসে। বনকর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছোনর আগেই উদ্ধারের কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। ততক্ষণে হাতির দলটি পাশে ভার্নাবাড়ি জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে। তারপর স্থানীয়রা দড়ি দিয়ে শাবকের পিছনের পা বাঁধে। তারপর লাঠির সাহায্যে ভর দিয়ে সেটিকে নিয়ে আসে জলাধারের কাছে। তারপর বাসিন্দারাই শাবকটির শুঁড় ধরে, গায়ে হাত দিয়ে হস্তিশাবকটিকে জলাধার থেকে বার করেন। বনকর্মিরা গিয়ে দেখেন চা বাগানের মধ্যে দিয়ে জঙ্গলের দিকে ছুটছে শাবকটি।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যান রাই জানান, এ দিন ভোরে ভার্নাবাড়ি চা বাগান এলাকায় একটি জলাধারে পড়ে গিয়েছিল শাবকটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জল থেকে শাবকটিতে টেনে তোলেন। সেটিকে জঙ্গলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। কল্যাণ রাই বলেন, ‘‘বনকর্মিরা দীর্ঘক্ষণ ধরে জঙ্গলে হস্তিশাবকটিকে গাইড করেছে। পরে সন্ধের দিকে হাতির পালটির কাছাকাছি চলে গিয়েছে শাবকটি।’’
কল্যাণবাবু বলেন, “সাধারণত মানুষের হাতের ছোঁয়া লাগলে মা শাবককে ফেরায় না। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে।’’ সোমবার সকালে ফের জঙ্গলে যাবেন বনকর্মিরা। যদি হাতির পাল শাবকটিকে না ফেরায় তাহলে সেটিকে উদ্ধার করে জলপাড়ার পিলখানায় পাঠানো হবে। মাতৃদিবসে শাবকটি মা-কে ফেরত পায় কি না তা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছে ভার্নাবাড়ির বাসিন্দা বা বনকর্মি সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy