শান্তি: ‘ভোরের আলো’য় নবনির্মিত ডুপ্লেক্স কটেজ। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গের মেগা ট্যুরিজম প্রকল্প গজলডোবার ‘ভোরের আলো’র জনপ্রিয়তা পর্যটক মহলে বেড়েছে। করোনা কালের আগে ‘ভোরের আলো’য় চারটি কটেজ প্রায় কোনও সময়ই খালি ছিল না বলা চলে। সেই চাহিদার কথা ভেবে একাধিক নতুন কটেজ এবং ডুপ্লেক্স কটেজ তৈরি শুরু হয়। দেড় বছর পর সেই নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ। সরকারি সূত্রের খবর, ক’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই স্বপ্নের প্রকল্পের খোঁজ নেন। নতুন পরিকাঠামো তৈরি শুনে তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে উত্তরবঙ্গে এলে তিনি নতুন কটেজ ও ডুপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন। পুজোয় পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৬ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী ‘ভোরের আলো’র দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকাঠামোর উদ্বোধন করবেন। তাই গজলডোবায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এতদিন ভিভিআইপি বা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একটি বিশেষ বাংলো ছাড়া ৪টি কটেজ ছিল। এ বার নতুন ৫টি ডুপ্লেক্স এবং আরও ৮টি কটেজ তৈরি হল। এর মধ্যে ৪টি প্রকল্প এলাকার মধ্যে লেকের ধারে। ডুপ্লেক্স কটেজগুলিতে মোট ১০টি ঘর রয়েছে। কটেজ ও ডুপ্লেক্স কটেজ— সব মিলিয়ে নতুন পর্যায়ে মোট ২২টি থাকার ঘর তৈরি হল। করোনার তৃতীয় ঢেউ তেমন ভাবে আছড়ে না পড়লে পুজোয় গজলডোবায় বুকিংয়ের জন্য ভিড় উপচে পড়ার আশা পর্যটন দফতরের কর্তাদের।
দফতরের এক সচিবের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এবং প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি সফল হয়েছে। নতুন পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনও উত্তরবঙ্গে এসে ভোরের আলোর পরিস্থিতি দেখে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছেন। নতুন পরিকাঠামো মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি গিয়ে উদ্বোধন করবেন।’’
২০১৮ সালে অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী ‘ভোরের আলোর’ উদ্বোধনও করে দেন। ২১০ একরের মতো প্রকল্পে জঙ্গল সাফারি, জঙ্গল ট্রেন রুট, বোটিং, অ্যাম্ফিথিয়েটারের মতো অনেক কিছুই ধাপে ধাপে তৈরি হচ্ছে। একটি বড় বেসরকারি হোটেল হয়েছে। আরও দু’টি কাজ শুরুর মুখে। যুব আবাস হয়েছে। ফুড কোর্টও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy