Advertisement
E-Paper

বাড়ছে তাপমাত্রার পার্থক্য

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদা, হলুদের পাতায় দাগ, সর্ষে, ফুলকপি, বাঁধাকপিতে রোগ পোকা, বেগুন চাষে কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার লক্ষণের পাশাপাশি পাতার ঢলে-পড়া রোগের আশঙ্কা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মরসুম বদলে শীতের ইনিংস শুরু হতেই সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক বাড়ছে উত্তরের একাধিক জেলায়। আগামী কয়েক দিনও ওই ধারা জারি থাকার পূর্বাভাস মিলেছে। ফারাক কিছুটা বাড়ার ইঙ্গিতও রয়েছে। এই অবস্থায় জমিতে থাকা একাধিক ফলন নিয়ে কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা কেন্দ্রের কর্তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক শিবিরে ওই ব্যাপারে বোঝানোর কাজ চলছে। ওই মৌসম সেবা কেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায় বলেন, “সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। তার উপরে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়লে রোগ পোকা সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সব কিছু মাথায় রেখে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কৃষকদের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

মৌসম সেবা কেন্দ্র সূত্রেই জানা গিয়েছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই ক্রমশ শীতের ইনিংস খাতা খুলতে শুরু করে। তার পরে থেকেই কোচবিহারে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ফারাক দাঁড়ায় ১০ ডিগ্রি। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস রয়েছে তাতেও ওই ফারাক বাড়তে পারে এমন ইঙ্গিত রয়েছে। কোচবিহারে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বাধিক তাপমাত্রা ২৬-২৮ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকবে ১১-১২ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৪-৮০ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৩৭-৫০ শতাংশ। বাতাসের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬-৯ কিমি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদা, হলুদের পাতায় দাগ, সর্ষে, ফুলকপি, বাঁধাকপিতে রোগ পোকা, বেগুন চাষে কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার লক্ষণের পাশাপাশি পাতার ঢলে-পড়া রোগের আশঙ্কা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও লঙ্কা, পটল, শশা চাষ নিয়েও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গরু-মহিষ, পোলট্রি মুরগি, হাঁস,ভেড়া ও ছাগলের রোগ সম্ভবনা নিয়েও সতর্ক করছে প্রাণী বিজ্ঞান শাখা।

পাশাপাশি কুয়াশা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে কৃষি আধিকারিকদের একাংশের। ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মরসুমের প্রথম কুয়াশাও কয়েক দিন ভাল দাপট দেখায়। টানা কুয়াশা হলে আলুতে ধসার সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। কোচবিহারের মুখ্য কৃষি আধিকারিক বুদ্ধদেব ধর বলেন, “নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক বাড়ে। সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”

Weathe Weather Update
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy