ফুটবলকে কাজে লাগিয়ে ইন্দো-ভুটান মৈত্রেয়ী দৃঢ় করা এবং উভয় দেশের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে উদ্যোগী ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তাদের উদ্যোগে ইন্দো-ভুটান প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনে আগামী ১০ জুলাই ‘প্রীতি কাপ’ নামে এই খেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। ভুটানের রয়্যাল ইউনিভার্সিটির অধীনে থাকা গেডু কলেজ দলের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল রাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার ফুটবল অ্যাকাডেমি দলের খেলা হবে। থাকবেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তাদের একাংশ, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা এবং ভুটানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জন।
খেলার আয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং ইস্টবেঙ্গল রাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার ফুটবল অ্যাকাডেমি। প্রীতি ম্যাচ ছাড়াও দুই দলের খেলোয়াদের সামিল করে ম্যাচের আগের দিন একটি সেমিনারের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে ইন্দো-ভূটান বিভিন্ন সমস্যা নিযে আলোচনা হবে। যেমন দুই দেশের সীমান্তে পাচার সমস্যা, আপরাধমূলক কাজকর্ম, নারী পাচারের মতো বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা হবে। আলোচনার বিষয়বস্তু জেলা প্রশাসনের মাধ্যেমে যেমন রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। তেমনই ভূটান সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন রয়্যাল ইউনিভার্সিটি কর্মকর্তারা।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা ঋত্বিক দাস বলেন, ‘‘ভূটানের তরফে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের প্রস্তাব এসেছিল। ক্লাব সেই সুযোগটাকেই উত্তরবঙ্গের ফুটবলের উন্নয়নে এবং দুই দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সচেতনতা প্রচারে কাজে লাগাতে চায়। সে জন্যই ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয় ইস্টবেঙ্গল রাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার ফুটবল অ্যাকাডেমির সঙ্গে খেলাটা হোক। তাতে ওই অ্যাকাডেমির ফুটবলারদেরও একটা সুযোগ মিলবে। উত্তরবঙ্গের জেলা লাগোয়া ভূটানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় ফুটবল ভূমিকা নিতে পারবে।’’ ওই কর্তাই জানান, ভুটানের নদীগুলি থেকে অনিয়মিত জল ছাডা় নিয়ে যেমন সমস্যা হয়, তেমনই নারী পাচার-সহ অপরাধমূলক অন্যান্য কাজকর্ম ঠেকাতে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।
ফুটবল ম্যাচের আয়োজন দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতেও কাজে লাগতে পারে।
কেন না ভুটানের দল যেমন খেলতে আসছে তেমনই ফিরে গিয়ে সেখানে একই রকম ম্যাচের আয়োজন করা হবে। এ দিকের দল ভূটানে গিয়ে খেলবে। সেখানেও সচেতনতা প্রচার হবে। ওই টিমের সঙ্গে এ দিকের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলও যেতে পারে। ভুটান চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কথা বলতে চান বলে জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আয়োজনের তোড়জোড় শুরু করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তকর্তারা।
উদ্যোক্তারা জানান, আগামী ৮ জুলাই ভূটানের দলটি জলপাইগুড়িতে পৌঁছবে। ৯ জুলাই বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনেই খেলার আগের দিন দুই দলকে নিয়ে আলোচনা সভা, মতের আদানপ্রদানের উপর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত, রাজগঞ্জ ইস্টবেঙ্গল ওয়েলফেয়ার ফুটবল অ্যাক্যাডেমির তরফে কোঅর্ডিনেটর সৌমিক মজুমদাররা জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ভূটানের দলটির আসা এবং তাদের অনুশীলনের ব্যবস্থা সমস্তই করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy