রাজ্যের বাজেটে উত্তরবঙ্গের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর ব্যবসায়িক সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নর্থ বেঙ্গল (ফোসিন), কনফেডারশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইআই) উত্তরবঙ্গ শাখার তরফেও। ফোসিনের তরফে যে প্রস্তাবগুলি পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে ক্ষুদ্রশিল্প এবং চা শিল্পের জন্য আলাদা প্যাকেজ চাওয়া হয়েছে। নোট বাতিল পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি উল্লেখ করে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারটি নিয়ে সমস্যা মেটাতে আর্জি জানিয়েছে সিআইআই-ও।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নোট বাতিল পরিস্থিতির জেরে বাজারে টাকার যোগান কমেছে। কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে সে ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নোট বাতিল পরিস্থিতি কাটিয়ে জিনিসের চাহিদা বাড়াতে কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করার কথা সিআইআই-এর তরফে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনের জোনাল কমিটির সদস্য সঞ্জিত সাহা। ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘এই এলাকায় ক্ষুদ্রশিল্প এবং চা বাগানকে কেন্দ্র করেই ব্যবসায় সমৃদ্ধি আসতে পারে। সে জন্য এই দুই ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার আর্জি প্রস্তাবে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মাথায় রেখে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।’’
গত ২৮ জানুয়ারি কলকাতার টাউন হলে রাজ্যের বিভিন্ন চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের নিযে প্রাক-বাজেট আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন ফোসিনের কর্মকর্তারা। সেখানেও তাঁরা বিষয়টি তুলে ধরেন। বর্তমানে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ই-বিল পদ্ধতিতে বিভিন্ন কর দেওয়ার ব্যবস্থা লাগু হয়েছে। সাত জেলার বিক্রয় করের অফিস রয়েছে শিলিগুড়িতে। সেখানে একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ থাকার কথা। কিন্তু সেটি যথাযথ কাজ করে না বলে অভিযোগ, ফোসিন-সহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির একাংশের। যে ব্যাপারে রাজ্যের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। ফোসিনের কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাটের পরিবর্তে গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি লাগু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা লাগু করার সময় সীমা আরও এক বছর পিছোতে অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের নথির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভুল সংশোধনের সময় দেওয়া হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই সময় সীমাও বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করতে বলা হয়েছে। ভিন রাজ্য থেকে বিভিন্ন সামগ্রী আনার ক্ষেত্রে ‘প্রবেশ কর’ অনেকের বকেয়া পড়ে রয়েছে। সে কারণে সুদ এবং জরিমানা দিতে হবে তাঁদের। বকেয়ার উপর সেই সুদ এবং জরিমানা মকুব করার আর্জি প্রস্তাবে রয়েছে।
চা বাগান মালিকদের এমপ্লয়মেন্ট এবং এডুকেশন কর দিতে হয়। অনুরোধ করায় তা এক বছরের জন্য ছাড় মিলেছিল। ফের তা পাঁচ বছরের জন্য ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy