অগ্নিদগ্ধ শিশুকন্যার মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত হওয়া তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিল মালদহ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে। তার ভিত্তিতেই ঘটনার দিন বার্ন ইউনিটে সন্ধে ও রাতে দায়িত্বে থাকা দুই নার্সকে শো-কজ করলেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
শো-কজের জবাব যুক্তিসঙ্গত না হলে কড়া পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শো-কজের জবাব চাওয়া হয়েছে দুই নার্সের কাছে। তারপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মালদহ মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল রতুয়ার দেবীপুরের বাসিন্দা সোনালি চৌধুরীর তিন বছরের মেয়ে নন্দিনীকে। পরের দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় নন্দিনীর। ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির দাবি তুলে ওইদিনই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সোনালিদেবী।
অভিযোগ, যন্ত্রণায় শিশুটি ছটফট করায় বারবার করে খুলে যাচ্ছিল তার স্যালাইনের চেন। যার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল শিশুটি। কর্তব্যরত নার্সদের তা জানালে, উল্টে পরিবারের লোকেদের ভর্ৎসনা করা হয়। যার জেরে পরে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ কমে যায়। তাই স্যালাইন চালানো অবশ্য কর্তব্য ছিল। স্যালাইন বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই নন্দিনীর মৃত্যু হয় বলে অনুমান চিকিৎসকদেরও।
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন বার্ন ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন বৈশাখী সরকার ও করবী মিশ্র নামে দুই নার্স। এ দিন ডেপুটি সুপার জ্যোতিষচন্দ্র দাসের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি নার্সদের গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করে রিপোর্ট দিতেই তাঁদের শো-কজ করা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত দুই নার্স। হাসপাতালের নার্সিং সুপার আভা সরকার বলেন, ‘‘যথাসময়ে শো-কজের জবাব দেওয়া হবে।’’