২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে জয়ী হন কৃষ্ণ। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। —নিজস্ব চিত্র।
রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি-সহ অফিসেও তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং আয়কর দফতর। তার মধ্যে আয়কর দফতরের একটি দল পৌঁছে যায় শিলিগুড়ির সেবক রোডে। সূত্রের খবর, ওই দলটি একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থায় অভিযান চালান। অন্য দিকে, বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে ঘিরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তার মধ্যে বিধায়ক বাড়ির বারান্দায় বেরিয়ে এক বার কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন।
বুধবার শিলিগুড়ির পিআরএম বেগরাজ নামে একটি নির্মাণ সংস্থার অফিসে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অভিযানে আসে ইডি এবং আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রায়গঞ্জের বিধায়কের বাড়িতে অভিযানের সূত্র ধরেই শিলিগুড়ির এই নির্মান সংস্থার অফিসে হানা।
২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে জয়ী হন কৃষ্ণ। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। জনপ্রতিনিধি কৃষ্ণের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওই ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জানতে কৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয় তারা। বিধায়কের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি এবং আয়ের থেকে অনেক কম কর জমা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর।
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এই অভিযান চালানো হয়েছে। বিজেপি বিরোধী স্বর স্তব্ধ করতে কৃষ্ণের বাড়িতে এই অভিযান। এখন উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেই সময়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অভিযানকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ হিসাবে দেখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের এ-ও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহ সফরের ঠিক আগে সেখানকার তৃণমূল নেতার বাড়িতেও তদন্তকারীদের অভিযান হচ্ছে একই কারণে। যদিও তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থা তাদের কাজ করছে। এতে রাজনীতি খোঁজা বোকামি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy