Advertisement
E-Paper

জলঢাকার ভাঙনে বিপন্ন আমগুড়ি

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচ দফতর কাজ শুরু করতে টালবাহানা করছে। তাই দিন যত গড়াচ্ছে ভাঙনের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে বলে মত বাসিন্দাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:১০
ভয়াল: পাড় ভাঙছে জলঢাকা। নিজস্ব চিত্র

ভয়াল: পাড় ভাঙছে জলঢাকা। নিজস্ব চিত্র

জলঢাকা নদীর ভাঙনে রাতের ঘুম উড়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের বাসিন্দাদের। ভাঙনের জেরে ময়নাগুড়ির আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্সিরডাঙা, নাকটানিবাড়ি, ঝারুয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচ দফতর সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচ দফতর কাজ শুরু করতে টালবাহানা করছে। তাই দিন যত গড়াচ্ছে ভাঙনের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে বলে মত বাসিন্দাদের। যদিও প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির উপর নজর রাখার কথা বলে হয়েছে। বলা হয়েছে, বাঁশের পাইলিং দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে। প্রশাসনের তরফে এলাকা পরিদর্শনও করা হয়েছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কাজ এগোয়নি একটুও। সেচ দফতরের আধিকারিক দেবব্রত সরকার বলেন, ‘‘ওই এলাকায় বাঁধ তৈরি হবে। তার জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি না কমলে কাজ শুরু করব কীভাবে।’’

গ্রামের বাসিন্দা ধনপতি রায়, আশু বর্মনেরা বলেন, ‘‘বাঁধ না থাকায় নদীগর্ভে মিলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চা বাগান, সুপারি বাগান, পান বাগান ও কৃষি জমি। এ ছাড়া এলাকার কাঁচা রাস্তাও চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। প্রাণ বাঁচাতে আমরা রোজই উঁচু স্থানে সরে যাচ্ছি।’’

বছর পাঁচেক আগে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে সেচ দফতর ওই এলাকায় জলঢাকা নদীতে তিনটি স্পার তৈরি করেছিল। কিন্তু নদীর দাপটে দুটি স্পার ইতিমধ্যেই বিলীন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ওই নদীর ৭৫০ মিটার অংশে বাঁধ নেই। বাঁধ না থাকায় এলাকাগুলির মানুষ প্রতিবছর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ও তৃণমূল নেতা মনোজ রায় বলেন, ‘‘বক্সিরডাঙা, নাকটানিবাড়ি, ঝারুয়াপাড়া এলাকায় প্রায় হাজার পাঁচেক লোকের বসবাস। সকলেই কৃষিজীবি। নদীর পাড় ভাঙার ফলে একশো একরেরও বেশি আবাদি জমি জলে তলিয়ে গিয়েছে। এ বার বাঁধের ব্যবস্থা না হলে তিনটি গ্রামই ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’’

Jaldhaka River Erosion Amguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy