Advertisement
E-Paper

জলপাইগুড়ির কিশোরীর বস্তাবন্দি দেহ মিলল আলিপুরদুয়ারের নদী থেকে, ধর্ষণ-খুনের দাবি পরিবারের

তিন দিন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বছর এগারোর কিশোরী। পরিবার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করার পর এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। স্নিফার ডগ এনে খোঁজাখুঁজি করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০১

—নিজস্ব চিত্র।

তিন দিন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বছর এগারোর কিশোরী। পরিবার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করার পর এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। স্নিফার ডগ এনে খোঁজাখুঁজি করা হয়। সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের স্থানীয় পুকুরে নামিয়েও তল্লাশি চলে। তার পরেও নাবালিকার হদিস মেলেনি। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির সেই মেয়েটিকে রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানা এলাকার দুদুয়া নদী থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় পেল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। সে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে সেটি শনাক্ত করে পরিবার। নিখোঁজ নাবালিকার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নাবালিকার এক প্রতিবেশীকে আটকও করেছে পুল‌িশ। ধূপগুড়ি গ্রামীণের ডিএসপি ওয়াংদেন ভুটিয়া বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে গ্রামেই রয়েছি। ওঁদের সঙ্গে কথা বলছি। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’’

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বাড়ির সামনেই খেলা করছিল ওই নাবালিকা। সেখান থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার পর থেকে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর রবিবার ফালাকাটা থানার খগেনহাট সংলগ্ন ঘটপাড় সরুগাঁও এলাকার দুদুয়া নদী থেকে তার দেহ উদ্ধার হল। পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই মর্মেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নাবালিকার কাকিমা বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে বিভিন্ন জায়গা খুঁজেও কোনও লাভ হয়নি। রবিবার রাতে পুলিশ জানায়, দুদুয়া নদী থেকে বস্তাবন্দি একটি মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে গিয়ে দেখি ভাস্তির দেহ। ওকে ধর্ষন করে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে সেই ভাবেই অভিযোগ জানিয়েছি। প্রতিবেশী এক জনের উপর সন্দেহ ছিল আমাদের। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।’’

নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার হওয়ার পর সেটি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে গিয়েই দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ‘‘দেহ এমন ভাবে ফুলে গিয়েছিল যে, চেনার উপায় ছিল না। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

Dhupguri Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy