Advertisement
E-Paper

দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল মোহনকে

শিলিগুড়ির হাসপাতাল সূত্রেই জানানো হয়েছিল মোহনবাবুর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অস্ত্রোপচার ছাড়া ওষুধেই মাথায় জমে থাকা রক্ত স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৯
পরিচর্যা: দিল্লি যাওয়ার আগে মোহনবাবু। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

পরিচর্যা: দিল্লি যাওয়ার আগে মোহনবাবু। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুকে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মোহনবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগডোগরা বিমানবন্দরে। সেখানে তৈরি ছিল দিল্লি থেকে উড়ে আসা এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি। দিল্লির হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষার পরে জানানো হয়েছে, মোহনবাবুর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এ দিনই বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে। সব রিপোর্টই সন্তোষজনক বলে জানানো হয়েছে। আপাতত কয়েকদিন হাসপাতালেই রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মোহনবাবুর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতোও। সন্দীপবাবু বলেন, ‘‘বিমান যাত্রায় কোনও সমস্যা হয়নি। চেয়ারম্যানের শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টও ভালই। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি।’’

শিলিগুড়ির হাসপাতাল সূত্রেই জানানো হয়েছিল মোহনবাবুর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অস্ত্রোপচার ছাড়া ওষুধেই মাথায় জমে থাকা রক্ত স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে। তবে গত বুধবার এমআরআই করানোর সময় ফের অসুস্থ অনুভব করেন তিনি। মাথায় ব্যাথা করার কথাও জানিয়েছিলেন পরিজনদের। পরিবার এবং দলের নেতৃত্ব কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। বুধবার রাতেই দিল্লির হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সংরক্ষণ করা হয় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সও। এ দিন দুপুর একটা নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স দিলিলি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্যে উড়ান শুরু করে। সেটি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পরেই মোহনবাবুকে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ দিনও মোহনবাবুকে দেখতে জলপাইগুড়ি থেকে অনেকেই এসেছিলেন শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে। অনেকে হাসপাতালের আইসিইউ-এর কেবিনে পৌঁছতে না পারলেও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন নীচে। আত্মীয়-দলের কর্মীদের থেকে চেয়ারম্যানের শরীরের পরিস্থিতির খোঁজখবর করেছেন। কেউ অপেক্ষা করেছিলেন মোহনবাবুকে হাসপাতাল থেকে বের করার সময়ের জন্য। চারতলার কেবিন থেকে নীচে নামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠানোর সময়ে তাঁরা ভিড় করেন। কেউ মোহনবাবুর হাত ধরে থাকেন, কেউ কেউ কথাও বলেন।

অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার সময় ভিড়ের উদ্দেশ্যে হাতও নেড়েছেন মোহনবাবু। বলেছেন, ‘‘চিন্তার কারণ নেই। আমি শীঘ্রি ভাল হয়ে ফিরব।’’

Jalpaiguri municipal Mohan Basu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy