সময়েই ক্লাস শুরু হয়েছিল স্কুলে। কয়েক জন ছাত্রী তার পরে পৌঁছয় স্কুলের সামনে। স্কুলের সদর দরজা তখন ভিতর থেকে বন্ধ। ছাত্রীরা ডাকাডাকি করলেও, দরজা খোলেনি। অভিযোগ, তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ছাত্রীদের কারও কারও অভিভাবক বাজার থেকে তালা কিনে এনে স্কুলের দরজায় ঝুলিয়ে দেন। ওই ছাত্রীরা দাবি জানায়, নির্ধারিত সময়ের পরে কোনও শিক্ষিকা এলে, তাঁকেও স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সোমবার এমনই ঘটল জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ে।
ঘটনাচক্রে, এ দিন জলপাইগুড়ি শহরের কাছে, বেলাকোবা গার্লস স্কুলেও দেরিতে আসায় স্কুলে ঢুকতে না পেরে কয়েক জন ছাত্রী বিক্ষোভ দেখায়। কোনও শিক্ষিকা দেরিতে স্কুলে এলে, তারাও স্কুলে ঢুকতে দেবে না বলে জানায়। যদিও পরে সকলকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়।
জলপাইগুড়ির সদর বালিকা বিদ্যালয়ের নবম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছয় ছাত্রী এ দিন স্কুল শুরুর (বেলা ১১টা ৫ মিনিট) পরে এসে পৌঁছয়। তাদের কারও দাবি, শহরেররেলগেটে আটকে পড়েছিল। কারও দাবি, দেরির কারণ যানজট। ছাত্রীদের ক্ষোভের কথা শুনে প্রধান শিক্ষিকা বেরিয়ে আসেন। স্কুলে দেরি করে ঢোকার সময়ও তখন পেরিয়ে গিয়েছে। ওই ছাত্রীদের মঙ্গলবার (আজ) স্কুলে আসতে বলেন প্রধান শিক্ষিকা। অভিযোগ, তিনি স্কুলের ভিতরে ঢুকে গেলে, বাইরে থেকে স্কুলের সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের কয়েক জন বাজার থেকে সে তালা নিয়ে আসেন। ঘণ্টা দেড়েক বাদে সে তালা খোলা হয়।
সদর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস বলেন, “ছাত্রীরা স্কুলের দরজায় তালা ঝোলায়নি। কোনও অভিভাবক হয়তো ভুল বুঝে, তা করেছেন। তবে ছাত্রীরা কি সময়ানুবর্তিতা শিখবে না? স্কুল থেকেই তো সে পাঠ শুরু হবে।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে বলেন, “নিয়ম মেনে সকলকে চলতে হবে। স্কুলে পৌঁছনোয় দেরি করা যাবে না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)