Advertisement
E-Paper

প্রাক্তনীদের পাশে নিয়ে স্বপনপূরণের লক্ষ্যে

জেনকিন্স স্কুলের এক দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রের পাশে দাঁড়ালেন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপের বন্ধু ওই স্কুলেরই একদল প্রাক্তনী। শনিবার নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে সংগৃহীত ১০ হাজার টাকার বই কিনে ঋত্বিক পাল নামে ওই ছাত্রের হাতে তুলে দেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৮
ঋত্বিক এবং জেনকিন্সের প্রাক্তনীরা। — নিজস্ব চিত্র

ঋত্বিক এবং জেনকিন্সের প্রাক্তনীরা। — নিজস্ব চিত্র

জেনকিন্স স্কুলের এক দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রের পাশে দাঁড়ালেন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপের বন্ধু ওই স্কুলেরই একদল প্রাক্তনী। শনিবার নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে সংগৃহীত ১০ হাজার টাকার বই কিনে ঋত্বিক পাল নামে ওই ছাত্রের হাতে তুলে দেন তাঁরা। নিজের স্বপ্ন পূরণে স্কুলেরই প্রাক্তনীদের পাশে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত ওই কৃতী।

ঋতিকের কথায়, “ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাই। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করার ইচ্ছে রয়েছে। এতদিন প্রয়োজনীয় বই না থাকায় সমস্যায় পড়েছিলাম। প্রচুর টাকা খরচ করে এতসব বই কেনা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলনা।” কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঋত্বিক বরাবর মেধাবী। সবাই এভাবে পাশে দাঁড়ানোয় লক্ষ্য পূরণে ও ভরসা পাবে।”

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেনকিন্স স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় ঋত্বিক। একন বিজ্ঞান নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। ২০১৮ সালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসার ব্যাপারে মনস্থির করেছে সে। কিন্তু স্কুলের পাঠ্য বইয়ের সমস্যা না থাকলেও জয়েন্টের জন্য প্রয়োজনীয় রেফারেন্স বই না থাকায় সেই প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না এতদিন।

কিছুদিন আগে নিজেদের স্কুলের এক মেধাবী ছাত্রের ওই সমস্যার কথা পরিচিতদের মাধ্যমে জানতে পারেন জেনকিন্সের প্রাক্তনীদের কয়েকজন। নিজেদের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপরেই সবাই নিজেদের সাধ্যমত অর্থ দিয়ে বই কিনে ঋত্বিককে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

জানা গিয়েছে, গ্রুপের ৫২ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই নিজেদের মত আর্থিক সাহায্য করেছেন। ঋত্বিকের বাবা বীরেনবাবু অন্যের টোটো ভাড়া নিয়ে চালান। সামান্য রোজগার। আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মাধ্যমিকে নিজের অদ্যম ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে নজরকাড়া ফল করেছে ঋত্বিক। সেই ছেলে বইয়ের সমস্যায় জয়েন্টের প্রস্তুতি নিতে পারছে না জানার পরে কিছু করার তাগিদ থেকেই প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসা। উদ্যোগীদের কয়েকজন জানান, পরে বইগুলি স্কুলের লাইব্রেরিতে রাখার কথা হয়েছে। তাতে ভবিষ্যতে ঋত্বিকের মত অন্য পড়ুয়াদের ওই বইগুলি কাজে লাগবে।

Jenkins school alumni
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy