সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
এক জন পার্টি না করেও আদ্যন্ত বামপন্থী এবং বাংলা সংস্কৃতি জগতে নক্ষত্র বিশেষ। অন্য জন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী। গত বছর নভেম্বরের আগে দু’জনের মধ্যে আলাপও ছিল না। অথচ এখন হৃদ্যতা এমন জায়গায় যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে কুশল জিজ্ঞাসা করেছেন গৌতম দেব।
দু’জনকে ‘মিলিয়েছেন’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সৌমিত্রের কণ্ঠে রবি কবিতা এবং গৌতমের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতের যুগলবন্দি অ্যালবামটি প্রকাশিত হতে চলেছে আগামী ১ জানুয়ারি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করবেন এই অডিয়ো ভিসুয়াল অ্যালবামটি। তার আগে ১৮ অক্টোবর, রবিবার অ্যালবামটির টিজ়ার মুক্তি পাবে।
কী ভাবে গান শুরু করলেন গৌতমবাবু? মন্ত্রী জানান, করোনা প্রকোপের প্রথম দিকে ফেসবুক লাইভে মাঝে মাঝেই তাঁকে কেউ কেউ গানের অনুরোধ করতেন। দু’এক কলি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয় দিতেন তিনি। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শিক্ষক অনিন্দ্য মজুমদার মন্ত্রীর গানের প্রতি আন্তরিকতা দেখে তাঁকে শিক্ষক রেখে গান শিখতে বলেন। গীতবিতানও উপহার দেন। তার পরেই মন্ত্রীর রেওয়াজ শুরু।
মন্ত্রী জানান, সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে অ্যালবামটির কাজ করোনার আগেই শুরু হয়েছিল। ৮টা গান বাছাইও হয়। তার পরে লকডাউনে সব আটকে গিয়েছিল। আনলক শুরু হতে কাজ এগিয়েছে। আকাশ ভরা সূর্য তারা, আগুনের পরশমণি, আমরা সবাই রাজার মতো ৮টি গান গেয়েছেন মন্ত্রী। চূড়ান্ত এডিটিংয়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
৬ অক্টোবর সৌমিত্রবাবু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে মন্ত্রীর। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আদ্যন্ত বামপন্থী মানুষ। সিনেমা, নাটক, কবিতার সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু যোগাযোগ কোনওদিন হয়নি। এ বারে অনেক কথাও হয়েছে।’’ তিনি আশা করেন, অসুস্থতা কাটিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরবেন সৌমিত্রবাবু।
পর্যটনমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সৌমিত্রবাবু এত বড় শিল্পী। তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। অ্যালবামের প্রস্তাব শোনার পর উনি প্রথমে খোঁজখবর নেন। আমার রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ দেখে শেষটায় রাজি হয়ে যান। ৮টি কবিতা আছে সৌমিত্রবাবুর। ওঁর অংশটা বাদ দিলে অ্যালবামে আমার গানের শৈল্পিক গুণগান হয়তো কিছুই নেই। তবে কবিগুরুকে ভালাবাসার জায়গা থেকে একটা উদ্যোগ, থাকবে কিছু মানুষের মনে। এটাই যথেষ্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy