ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে আহত আসামিকে সিটি স্ক্যান সহ শারীরিক পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, আহতের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও তার সিটি স্ক্যান সহ কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। ইসলামপুর হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা নেই। ইসলামপুর হাসপাতালের শল্য বিভাগের এক চিকিত্সক সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘মাথা সহ শরীরের নানা জায়গায় আঘাত।’’
আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ মঙ্গলহাটের বাসিন্দা প্রায় বছর ৪০-এর জেকব মুর্মুকে আলিপুরদুয়ার থেকে অন্তর্বর্তী পুলিশি হেফাজতে কাশ্মীরে নিয়ে যাচ্ছিল সেখানকার পুলিশ। সেখানে শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে দরজার কাছে এসে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয় সে। তবে প্রথমে হাসপাতালে সে নিজেকে রাজেশ টুডু বলেই পরিচয় দেয়। তার হাতে হাতকড়া দেখেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, দুই দিন তার কোন নিকট আত্মীয়ের দেখা পাওয়া যায়নি। সুস্থ হয়ে গেলে ওই আসামিকে কাশ্মীর নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাশ্মীরে একটি বাড়িতে পরিচালকের কাজ করত ওই যুবক। সেখানেই বাড়ির লোকেদের অনুপস্থিতিতে ল্যাপটপ ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী ও নগদ কয়েক লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে পালিয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে জম্মু কাশ্মীর পলিশ আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ এর মঙ্গলহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে পেশ করে অন্তর্বর্তী পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ব্রক্ষ্মপুত্র মেল করেই রওনা দিয়েছিল। তবে তার মাঝে ওই ঘটনা ঘটাবে, তা বুঝতে পারেনি পুলিশ। যদিও ঝোপ থেকে উদ্ধার করার পর পুলিশকেও ওই যুবক জানিয়েছিল টিকিট না থাকার জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ও পরে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। যদিও পুরো বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy