Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
kaliachak

ফলের রসে ঘুমের ওষুধ, গলা টিপে খুন, ফেব্রুয়ারিতে ৪ জনের দেহ ট্যাঙ্কে ফেলেছিল আসিফ

২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সে ভাবেই জলের ট্যাঙ্কে পড়েছিল আসিফের মা ইরা বিবি, বাবা জাওয়াদ আলি, বোন আরিফা খাতুন এবং ঠাকুমা আলেকজান খাতুনের দেহ।

দেহ উদ্ধার করে তোলা হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে।

দেহ উদ্ধার করে তোলা হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালিয়াচক শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ১৫:৫৪
Share: Save:

মালদহের কালিয়াচকে পরিবারের চার জনকে খুন করে দেহ পুঁতে রেখেছিল অভিযুক্ত মহম্মদ আসিফ। শনিবার দুপুরে সেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই ভাই— অভিযুক্ত আসিফ এবং অভিযোগকারী আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী ভাবে বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমাকে খুন করেছিল আসিফ তা জানতে পেরেছে। পুলিশের কাছে জেরায় আরিফ জানিয়েছে ফেব্রুয়ারি ওই দুপুরে তাঁকেও খুন করার চেষ্টা চালিয়েছিল আসিফ।

দুই ভাইকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফলের রসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিল আসিফ। সেই রস খেয়েছিলেন আসিফের পরিবারের সকলে। ওই রস খেয়ে বাবা, মা, ঠাকুমা, বোনের মতো অচৈতন্য হয়েছিলেন আরিফও। পুলিশ জানিয়েছে, ওষুধ মেশানো ফলের রস খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ার পর বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমাতে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তার পর বাড়ির মধ্যে মাটির নীচে থাকা জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয় দেহ।

২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সে ভাবেই জলের ট্যাঙ্কে পড়েছিল আসিফের মা ইরা বিবি, বাবা জাওয়াদ আলি, বোন আরিফা খাতুন এবং ঠাকুমা আলেকজান খাতুনের দেহ।। শনিবার বিষয়টি সামনে আসার পর উদ্ধার হয়েছে আসিফের পরিবারের লোকের কঙ্কাল। সে গুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেছেন, ‘‘আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরিফকেও আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police murder case kaliachak Kaliachak Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE