প্রতীকী ছবি।
মূল অভিযুক্ত রামপ্রবেশ শর্মাকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে জেরা করে অপর অভিযুক্ত আন্ধারু বর্মনকে মঙ্গলবার ইটাহার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে অত্যাচারের ঘটনার পর প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা যুবতীকে রবিবার বিকেলে উদ্ধার করে মাথায় জল দিয়ে জ্ঞান ফেরান বলে এলাকাবাসীর দাবি। এরপর কুশমণ্ডি হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই যুবতীর জবানবন্দি অনুযায়ী রামপ্রবেশের নাম জানতে পারে পুলিশ। এরপর দেহাবন্ধ এলাকার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ বছরের কাঠমিস্ত্রি রামপ্রবেশকে পুলিশ পাকড়াও করে। অপর অভিযুক্ত লাগোয়া ইটাহারের পূর্ব নওগাঁ এলাকা থেকে কৃষিজীবী আন্ধারু বর্মনকে এদিন পুলিশ গ্রেফতার করে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে ধৃত ওই দুজনকে তোলা হলে তাদের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। বিচারক ১১দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আন্ধারুর বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় পুরনো অপরাধের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে রামপ্রবেশ শর্মার গ্রেফতারে এলাকার অনেকেই অবাক। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘‘রামপ্রবেশের কাঠের দোকান রয়েছে। বড় দুটি মেয়ে। এমন জঘন্য ঘটনায় ও জড়িত থাকবেন ভাবলে অবাক হচ্ছি।’’ রামপ্রবেশের বাড়িতে গিয়ে কাউকে মেলেনি।
সোমবার নির্যাতিতার প্রতিবেশী প্রৌঢ় ধুমা সরেনকে দিয়ে কুশমণ্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে যুবতীকে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত বলে রামপ্রবেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতা যুবতী রামপ্রবেশের নাম বলেছেন। তাকে ধরে জেরা করে অপর অভিযুক্ত আন্ধারুর নাম মিলেছে। দু’জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবেই হোক তরুণীকে সুস্থ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে কলকাতায় নিয়ে কিংবা কলকাতা থেকে চিকিৎসক দল পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোও হতে পারে। রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকেও দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধৃতদের আরএসপি সমর্থক বলে দাবি করা হয়েছে। আরএসপির দাবি, ‘‘ধৃতরা আগে আরএসপি সমর্থক ছিলেন। এখন তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy