পর্যাপ্ত নগদ নেই। তাই মাঠেই পড়ে রয়েছে আমন। কারণ, নগদে মজুরি না দিতে পারায় ধান কাটার লোক মিলছে না। অবশ্য নোটের আকালে ধান কেটেও খদ্দের মিলছে না বাজারে। তাই সুবল বর্মন, হরেন রায় কিংবা শেখ মহম্মদের মতো অনেক চাষিই দু’দফায় বাজারে গিয়েও ধান নিয়ে ফিরে এসেছেন বাড়িতে। আলুচাষিদের সমস্যাও কম নয়। নগদের অভাবে তাঁরা বীজ কেনা, বীজতলা তৈরি, সার সংগ্রহের কাজও ঠিকঠাক করতে পারছেন না। ফলে ফালাকাটা থেকে ধূপগুড়ি কিংবা খড়িবাড়ি, কোচবিহার অথবা তপন, গঙ্গারামপুরের চাষিরা অনেকে শঙ্কিত।
আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। যেমন, মালবাজারের ভুট্টাবাড়ি চা বাগান লাগোয়া এলাকায় ধান না কেটে উপায় নেই। কারণ, পাকা ধানের লোভে জঙ্গল থেকে হানা দেয় হাতির দল। তাই ধান কাটতেই হবে।
হাতির হানার ভয়ে আগেভাগে ধান কেটে রেখেছেন শিলিগুড়ি লাগোয়া সাহুডাঙির বাসিন্দা মলিন বর্মন। গত মাসের মাঝামাঝি জমির ধান কেটেছেন। কাটা ধান ঝাড়াই মারাইও হয়েছে। কিন্তু হাটে ধান বিক্রি হচ্ছে না বলে জানালেন তিনি। দু’দিন রাজগঞ্জের হাটে গিয়ে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘উঠোনেই ধান রেখে দিতে হয়েছে। হাতি হানা দিলে সব নষ্ট হবে।’’