প্রস্তুতি: চার হাজার লাড্ডু বানানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
কোথাও পাঁচ হাজার লাড্ডু দিয়ে ভোগ সাজান হবে। কোথাও চার হাজার লাড্ডু দেওয়া হচ্ছে। গণেশ বন্দনায় ভোগ নিবেদন ঘিরে লাড্ডুর লড়াই জমে উঠেছে কোচবিহারের পুজো উদ্যোক্তাদের। শুক্রবার থেকে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী পুজো ও উৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতিও প্রায় সম্পূর্ণ।
উদ্যোক্তারা জানান, শনিবারেও পুজো হবে। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের সওদাগর পট্টির গণেশ পুজো শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এবার তৃতীয় বর্ষ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা রাখা হবে নজরকাড়া মণ্ডপে। আলোকসজ্জা চন্দননগরের। ওই পুজো কমিটির সহকারি সম্পাদক উজ্জ্বল পোদ্দার বলেন, “ গতবার ভোগে তিনহাজার লাড্ডু দেওয়া হয়েছিল। এবার শুক্রবার প্রথম দিনের পুজোয় পাঁচ হাজার লাড্ডু দিয়ে ভোগ দেওয়া হবে। লাড্ডু ভোগে আমরাই এগিয়ে থাকব।”
লড়াইয়ে রয়েছেন শহরের কোচবিহারের এফবি ইউনিটের পুজো উদ্যোক্তারা। পুজোর প্রথমদিন শুক্রবার ভোগের তালিকায় চার হাজার লাড্ডু, তিন হাজার লুচির সঙ্গে সুজির পায়েস করে ভোগ নিবেদন করা হবে। দ্বিতীয় দিন শনিবার থাকবে ৯ কুইন্টাল চাল-ডালের খিচুড়ি পুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিক বণিক বলেন, “চারটি দোকানে একহাজার করে লাড্ডুর অর্ডার দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে লাড্ডু বিলি করা হবে। দরকারে তা আরও বাড়ানো হবে।” বাদুড়বাগান এলাকায় পুজোর মণ্ডপসজ্জার কাজে উঠে আসছে মহারাষ্ট্রের মন্দিরের ছাপ। নজর কাড়বে শোলার শিল্পকর্ম। তাদের দাবি, প্রতিমাতেও চমক থাকছে।
শিবাজির আদলে কোচবিহারের এক শিল্পী ওই প্রতিমা করেছেন। চন্দননগরের আলোকসজ্জাতেও বিভিন্ন দেবদেবীর থিম নজর কাড়বে। উদ্যোক্তারা জানান, আজ শুক্রবার পুজোর উদ্বোধন করবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। অঞ্জলি, আরতির ব্যবস্থা থাকবে। গত কয়েক বছর থেকে কোচবিহারে গণেশ পুজোর আয়োজন সাড়া ফেলেছে। দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, চ্যাংরাবান্ধাতেও জমাট উৎসবের আবহ। লাড্ডুর সংখ্যার লড়াই আলোচনাও তুঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy