ভিনিয়ার ড্রাফটিং ও জোড় কলম করে একই আমগাছে ফলে পাঁচ রকমের আম। এর মধ্যে আবার মালদহ ও মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের আমের প্রজাতিও রয়েছে। নিজে সঙ্কর প্রজাতির আমও তৈরি করেছেন এবং নিজের পদবির নামে রয়েছে আম।
শুধু তাই নয়, তাঁর ২৫ বিঘা আমের বাগানে ফলছে অন্তত ৫০ প্রজাতির আম। ওই আম নিয়ে দিল্লির আম উৎসবে গিয়ে সেই ২০০৮ সাল থেকে ছিনিয়ে আনছেন একাধিক পুরস্কারও। আর এই আম চাষ করেই এবার রাজ্যের খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পেয়েছেন কৃষক সম্মান পুরস্কার। তিনি গাজোলের রাইখাদিঘির বাসিন্দা জাভেদ আমিন। এখন তাঁর বাগানে শুধু আম আর আম—সেই আম নিয়ে এ বারও দিল্লি পাড়ি দেওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুতি নিয়েছেন। কলকাতায় আম উৎসব হলেও যেতে পারেন।
মালদহ জেলার বৈরগাছি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাইখাদিঘির বাসিন্দা জাভেদ আমিন পুরোপুরি আম চাষি। তিনিই জানালেন, তাঁর ২৫ বিঘা আমবাগান রয়েছে। সেখানে ফলে কম পক্ষে ৫০ প্রজাতির আম। মালদহ জেলার বিখ্যাত ফজলি, আম্রপালি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, মল্লিকা, কিষাণভোগ, গোপালভোগ, রত্না, আড়াজন্মার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার কোহিতুর, গোলাপখাস, হুসনারা, তোতাপুরি বা উত্তরপ্রদেশের চৌসা, দশৌরি সব ধরনের আমই রয়েছে তাঁর বাগানে। তবে তাঁর বিশেষত্ব হল, একই গাছে পাঁচ রকমের আম ফলানো এবং প্রতিটি আমই নিজস্বতা নিয়ে ফলে।
আরও পড়ুন: পরমবীর প্রাচীর ঘিরে দ্বন্দ্ব, প্রশ্নের মুখে রাজ্যপাল
ভিনিয়ার ড্রাফটিং করে একটি আমগাছে ফলছে আম্রপলি, গোলাপখাস, রানিপসন্দ, দশৌরি ও বিশ্বনাথ। হিমসাগরের সঙ্গে গুটি আমের সঙ্কর তিনি নিজের পদবির নামে আমিন স্পেশাল, গোপালভোগের সঙ্গে গুটির সঙ্করে আমিন ভোগ ও ফজলির সঙ্গে আড়াজন্মার ক্রশে আমিন ১০ আমও ফলাচ্ছেন।
দিল্লি সরকারের পর্যটন দফতরের তরফে দিল্লি হাটে যে আম উৎসব হয়, সেখানে ২০০৮ সাল থেকেই আম নিয়ে অংশ নিচ্ছেন জাভেদ। প্রতি বছরই তাঁর বাগানের আম্রপালি সেরা আমের পুরস্কার পায়। শুধু তাই নয়, তাঁর ২০ থেকে ২২টি প্রজাতির আম বিভিন্ন পুরস্কার পায় প্রতিবারই। এ জন্য এবার কৃষক সম্মান প্রাপক হিসেবে তাঁরই নাম পাঠানো হয়েছিল। গত ১৪ মার্চ কলকাতার নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে তিনি সেই পুরস্কার নেন। জাভেদ বলেন, ‘‘আম ফলানো আমার নেশা, তবে সেই আম হবে গুণমানে সমৃদ্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy