আবারও চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল ডেঙ্গুয়াঝাড় চ বাগানে৷ শনিবার ওই বাগানের পঁচিশ নম্বর সেকশনে নর্দমায় ফের একবার একটি চিতাবাঘ দেখা যায় বলে দাবি শ্রমিকদের৷ ফলে বেশ কিছুক্ষণের জন্য সেকশনে কাজও বন্ধ থাকে৷ পড়ে ২৫ নম্বর সেকশন ও লাগোয়া ২ ৮নম্বর সেকশনের মাঝে একটি খাঁচা বসানো হয়৷ তবে চিতাবাঘটি অবশ্য ধরা পড়েনি৷
গত ১৫ অক্টোবর এই বাগানেরই ১৩ নম্বর সেকশনে চিতাবাঘের আক্রমণে এক মহিলা শ্রমিক জখম হন৷ এখনও তিনি বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ওই দিনই বাগানে একটি খাঁচা পেতেছিল বন দফতর৷ কিন্তু চিতাবাঘকে ঘিরে আতঙ্ক বাড়তে থাকায় পরে আরও একটি খাঁচা পাতা হয়৷ কিন্তু এরই মধ্যে ফের এ দিন চিতাবাঘের দেখা মেলায় আতঙ্ক বেড়েছে বাগানে৷
বাগানের শ্রমিক জুলিয়া খেরিয়া বলেন, ‘‘এ দিন বাগানে পাতা তোলার সময় আচমকাই দেখি নর্দমাতে চিতাবাঘটি বসে রয়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে চিৎকার করে ওখান থেকে খানিকটা দূরে পালিয়ে যাই৷ আমার সঙ্গে বাকি শ্রমিকরাও পালায়৷’’ চিতাবাঘের আসার খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যাম বাগানের ম্যানেজার জীবনচন্দ্র পাণ্ডে৷ তিনি জানান, খানিকটা দূরে পালিয়ে শ্রমিকরা চিৎকার করতেই বাঘটি ২৮ নম্বর লাইনের দিকে পালিয়ে যায়৷ তারপরেই দুটি খাঁচার পরে একটি নতুন করে বসানো হয়৷
জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, ‘‘এ দিন ওই বাগানে ফের চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে বলে শুনেছি৷ বন দফতরের কর্মীরা সেটিকে ধরার চেষ্টা করছেন৷’’
তবে বারবার চিতাবাঘকে ঘিরে তৈরি হওয়া আতঙ্কের প্রভাব বাগানের কাজেও পড়তে শুরু করেছে৷ বাগানের ম্যানেজার জানিয়েছেন, বাঘের আতঙ্কের জন্য শ্রমিকদের উপস্থিতি কমে গিয়েছে৷ যার ফলে মার খাচ্ছে বাগানের উৎপাদন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy