পুরবোর্ডের কাছে আমরা যা চাই
অবশেষে ত্রিশঙ্কু বোর্ডের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অনেকটা প্রত্যাশিত ভাবেই জলপাইগুড়ির পুরবোর্ড তৃণমূল দলের দখলেই এল। তাই নির্বাচনের আগে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে এই পুরসভাটি আবার তাদের দখলে নিয়ে এল এবং সেই প্রতিশ্রুতির উপর জলপাইগুড়ির মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস রেখে যে ভাবে আবার তাদেরই পুরবোর্ডের ক্ষমতায়ও এনে দিল নবগঠিত পুরবোর্ড। জানি না, আগামী পাঁচ বছরে সেই অর্ধসমাপ্ত প্রকল্পগুলো সত্যিকারের বাস্তবায়িত করতে পারবে কিনা।
তবে আমরা কিন্তু প্রত্যেকেই আশাবাদী যে, নবগঠিত পুরবোর্ড জলপাইগুড়ির উন্নয়নের রূপকার মোহন বসু, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির উন্নয়ন পর্ষদের আর্থিক সহায়তায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই জলপাইগুড়ির মতো একটা সাংস্কৃতিক শহরকে একটি আদর্শ নগরীতে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং তাঁদের সদিচ্ছার উপরেই নির্ভর করবে জলপাইগুড়ি শহরের প্রকৃত উন্নয়ন। যেটি চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আমরা জানি যে, শহরের জনসংখ্যা ও বসতি বিগত দশ বছরে অনেকটাই বেড়েছে। আর তার সঙ্গে প্রতিদিন বাড়ছে নানা সমস্যাও। যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বর্তমান পুরবোর্ডকেই এবং নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই পরবোর্ডকেও উন্নয়নের সোপানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় যা আমরা বিগত দিন থেকেই দেখে আসছি এই বিভাগীয় শহরটিতে। তাই শহরের এক জন দীর্ঘনিবাসী বর্ষীয়ান নাগরিক হয়ে নবগঠিত পুরবোর্ডের কাছে বিনীত আবেদন রাখব যে, ক্ষমতায় বসে সব রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে জলপাইগুড়ির সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থেই শহরের গুণিজন থেকে শুরু করে বিরোধীদের মতামতকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে জলপাইগুড়ি শহরকে এগিয়ে নিয়ে চলুন প্রকৃত উন্নয়নের পথে।
যাতে আগামী পাঁচ বছরে পুর পরিষেবা নিয়ে জলপাইগুড়ির কোনও মানুষই যেন অভিযোগের আঙুল না তোলেন নবগঠিত পুরবোর্ডের কাছে। যেটি কোনও শহরবাসীর কাছেই কাম্য নয়। পরবর্তী কালে যাঁরা অনেক প্রত্যাশা নিয়েই দলকে পুরবোর্ডের ক্ষমতায় আনতে সমর্থ হয়েছেন সম্প্রতি পুর নির্বাচনে।
অরবিন্দকুমার দে। মহামায়াপাড়া, জলপাইগুড়ি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy