Advertisement
E-Paper

যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট, রিং বিলি ফেরিঘাটে

পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ফেরিঘাটেও লাইফ জ্যাকেট, রিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। শুক্রবার দুপুরে পুরাতন মালদহের নিমাইসরা ফেরিঘাট থেকে ব্লকের তিনটি ঘাটের জন্য ঘাট মালিকদের হাতে ৫০টি লাইফ জ্যাকেট এবং রিং তুলে দিলেন মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অরুণকুমার রায় ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মু।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:২৪
সতর্ক: নিমাইসরা ফেরিঘাটে শুরু লাইফ জ্যাকেট পরা। নিজস্ব চিত্র।

সতর্ক: নিমাইসরা ফেরিঘাটে শুরু লাইফ জ্যাকেট পরা। নিজস্ব চিত্র।

পরপর দু’বার নৌকোডুবির পরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। মালদহ জেলা পরিষদের অধীন ফেরিঘাটগুলিতে যাত্রীদের জন্য বিলি করা হল লাইফ জ্যাকেট এবং লাইফ রিং। পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ফেরিঘাটেও লাইফ জ্যাকেট, রিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। শুক্রবার দুপুরে পুরাতন মালদহের নিমাইসরা ফেরিঘাট থেকে ব্লকের তিনটি ঘাটের জন্য ঘাট মালিকদের হাতে ৫০টি লাইফ জ্যাকেট এবং রিং তুলে দিলেন মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অরুণকুমার রায় ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মু।

লাইফ জ্যাকেটের পাশাপাশি ফেরিঘাটগুলিতে যাত্রী পারাপারের জন্য টিকিটেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। অরুণকুমার বলেন, “জলপথে জেলায় কত সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করেন, সেই তথ্য ঘাটগুলিতে থাকে না। তার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নৌকোয় অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো হচ্ছে কিনা তা নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য ঘাটগুলিতে এক জন করে কর্মী নিয়োগ করবেন মালিকেরা।”

ফেরিঘাটগুলিতে নিয়ম মানা না হলে মালিকদের চুক্তি বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে লিজ় নেওয়ার পরে মালিকদের একাংশ মাঝিদের কাছে ঘাটের সাব-লিজ় দিয়ে দেন। এমনটাও মানা হবে না। প্রশাসনের তরফে নিয়মিত ঘাটে নজরদারি চালানো হবে। আর সন্ধের পরে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ফেরিঘাটে নৌকো চলাচল বন্ধ থাকবে।”

পঞ্চমী এবং দশমীতে চাঁচলের জগন্নাথপুর ও বৈষ্ণবনগর থানার ভুবনমণ্ডলটোলা গ্রামে নৌকোডুবি হয়। দু’টি নৌকোডুবিতে মোট ১২ জনের মৃত্যু ঘটে। তাতেই টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য ফেরিঘাটগুলিতে লাইফ জ্যাকেট, লাইফ রিং, মাঝিদের পরিচয়পত্র বিলির উদ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলা পরিষদের অধীনে ২০টি ফেরিঘাট রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে জেলায় প্রায় ১৬০টি ফেরিঘাটে নৌকা চলাচল করে। এর মধ্যে প্রায় ৬০টি ফেরিঘাটের সরকারি কোনও অনুমোদন নেই। সেই ঘাটগুলিকে পঞ্চায়েতের অধীনে করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।

প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, জেলায় ৭০০টি লাইফ জ্যাকেট নিয়ে আসা হয়েছে। নৌকোয় লাইফ জ্যাকেট ছাড়া যাত্রীদের ওঠানো হবে না। এর জন্য ঘাটগুলিতে ২০ থেকে ১৫টি করে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হবে। ঘাট মালিকদের একাংশ জানিয়েছেন, “অনেক যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় নৌকায় যাতায়াত করেন। সে ক্ষেত্রে মাঝিদের কোনও গুরুত্ব দেন না মদ্যপ যাত্রীরা।” ঘাটগুলিতে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনের নম্বর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অরুণকুমার।

life jacket maldaha ferryghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy