সেতুতে বিস্ফোরণের মুহূর্ত
বিনা অনুমতিতে সেবকের করোনেশন সেতুর উপর শুটিং চলাকালীন গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন এক জন। শুক্রবার কালিম্পং থেকে গ্রেফতার করা হয় লাইন প্রডিউসার চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশিই, কড়া পদক্ষেপ হিসেবে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে সেবক ফাঁড়ির ওসি ডালিম অধিকারীকে।
হেরিটেজ ঘোষিত হওয়া করোনেশন সেতুর উপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর পরেই দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার এসপি, অতিরিক্ত এসপি ও ডিআইজি সেতু পরিদর্শনে যান। ঘটনার সঙ্গে এলাকার যাঁরা জড়িত দার্জিলিঙের এসপি সন্তোষ নিম্বালকর ও কালিম্পং এসপি অপরাজিতা রাইয়ের উপস্থিতিতে তলব করা হয় বেশ কয়েক জন স্থানীয়কে, যাঁরা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তলব করা হয়েছিল চৈতালিকেও। তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরার পরেই গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ একটি গাড়ি থেমে যায় ঐতিহ্যবাহী করোনেশন সেতুর উপর। গাড়ি থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছু ক্ষণের মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে ওই গাড়িটিতে। দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে গাড়িটিতে। সেই সঙ্গে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেবক এবং মংপং থানার পুলিশ। বিস্ফোরণের জেরে করোনেশন সেতু বা সেতুর কোনও স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বলেই ভৌগোলিক দিকে থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করোনেশন সেতু। চিন এবং ডুয়ার্সের ভুটান সীমান্তের জন্য সামরিক দিক দিয়ে এই সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত সামরিক গাড়ি সেতু দিয়ে চলাচল করে। অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, সেতুর ক্ষতি হলে তা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও চিন্তায় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy