কালচিনিতে বিমল গুরুঙ্গ। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সে হারানো জমি ফিরে পেতে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকেই ফের সামনে নিয়ে এলেন বিমল গুরুঙ্গ। তবুও কালচিনির ভাটপাড়া চা বাগানে তাঁর সভায় শ’দেড়েকের বেশি কর্মী সমর্থকের ভিড় নজরে এল না।
গত বিধানসভা ভোটে সমতলের মধ্যে একমাত্র কালচিনিতেই জনপ্রতিনিধি পেয়েছিল মোর্চা। জয়ী হয়েছিলেন মোর্চা সমর্থিত নির্দল প্রার্থী উইলসন চম্পামারি। কিন্তু দল ছেড়েছেন তিনি। সম্প্রতি কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোর্চার প্রধানও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। মোর্চার বহু কর্মী সমর্থকও তৃণমূলে যোগ দেন। তাই হারানো সাংগঠনিক ভিত্তি ফিরে পেতেই ডুয়ার্সে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিকেই হাতিয়ার করলেন মোর্চা সুপ্রিমো।
তিনি বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে নয়, আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলছি। যে ভাবে তেলেঙ্গনা আলাদা রাজ্য হয়েছে, সেভাবে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি আমরা কেন্দ্রের কাছে রেখেছি।’’ গুরুঙ্গের দাবি, শীঘ্র গোর্খাল্যান্ডের বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা শুরু হবে।
গুরুঙ্গ অবশ্য দাবি করেছেন, এ দিন এখানে তাঁর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। ডুয়ার্সে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন হয়নি। দার্জিলিংয়ে ৬৮টি চা বাগান রয়েছে। এর সবক’টি খোলা রয়েছে।। অথচ তরাই ডুয়ার্সে বেশ কয়েকটি বাগান বন্ধ রয়েছে।’’ বিভিন্ন চা বাগানে রেশন সরবরাহ, বেতন, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বলে গুরুঙ্গ অভিযোগ করেছেন। ভাটপাড়া চা বাগানে স্কুল তৈরির দাবি তুলেছেন গুরুঙ্গ। বন্ধ রেডব্যাঙ্ক এবং বান্দাপানি চা বাগানে মোর্চার তরফে ত্রাণ পাঠানো হবে বলে দাবি করেছেন।
তৃণমূল নেতা তথা আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মা বলেন, ‘‘পাহাড় থেকে এসে আর ডুয়ার্সের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। তারা রাজ্য সরকারের উন্নয়নে সামিল হয়েছে। এখন আর মোর্চার সভায় ভিড় হয় না। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy