E-Paper

ঘুরপথে হাসপাতালে যান রোগী ও প্রসূতিরা, ক্ষোভ

গত বর্ষার পরে রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় বন্যার জল বের করার জন্য রাস্তা কাটা হয়েছিল, সেই সব জায়গাও মেরামত হয়নি।

নীহার বিশ্বাস 

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:০১
বাগিচাপুর থেকে হরিরামপুর যাওয়ার রাস্তা।

বাগিচাপুর থেকে হরিরামপুর যাওয়ার রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

হরিরামপুর ব্লকের বাগিচাপুর যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। খানাখন্দে ভরা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় অনেকেই তা এড়িয়ে ঘুরপথে হরিরামপুরে যাতায়াত করেন। এতে সময় যেমন অপচয় হচ্ছে, তেমনই টোটো ভাড়াও বেশি গুণতে হয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাগিচাপুর হাই স্কুলের পাশ দিয়ে রাস্তা সোজা চলে গিয়েছে হরিরামপুরে। হরিরামপুরে হাট-বাজার, চিকিৎসা, থানা ও হরিরামপুর কলেজে যাতায়াতে বিশাপুকুর, নেন্দ্রা আদিবাসী পাড়া, সুরাহের ও বাগিচাপুরের বাসিন্দারা এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এই রাস্তার পাশেই রয়েছে সুরাহের প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তাই প্রতিদিন গ্রামের বহু মানুষকে নানা কাজে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। অভিযোগ, পিচের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল হয়ে রয়েছে। পিচ উঠে গিয়ে পাথর বেরিয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অচিন্ত্য মাহাতো বলেন, ‘‘এমনিতেই রাস্তা গর্তে ভরা। তার উপরে কয়েক হাত পর পর উঁচু উঁচু ‘হাম্প’। তাই বেশির ভাগ বাসিন্দাই এই রাস্তা ছেড়ে কুশকারি-হরিরামপুর রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। প্রশাসনের দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা উচিত।’’

গত বর্ষার পরে রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় বন্যার জল বের করার জন্য রাস্তা কাটা হয়েছিল, সেই সব জায়গাও মেরামত হয়নি। পাঁচ কিলোমিটারের এই রাস্তাটি বেহাল থাকায় ছোট গাড়ি, টোটো, মোটর বাইক চালকেরাও রাস্তাটি এড়িয়ে চলেন। প্রসূতিদের হরিরামপুরে নিয়ে যেতে ঘুরপথে যেতে হয়। রাস্তাটি ভাল থাকলে কম সময়ে হরিরামপুরে যাওয়া যেত। উঁচু হাম্প, খানাখন্দ ও পিচ-ওঠা রাস্তা নিয়ে তাই নাজেহাল মানুষ। তাঁদের দাবি, রাস্তা মেরামত করা হলে এই দুর্দশা থেকে তাঁরা মুক্তি পান। রাস্তার বেহাল দশার খবর পেয়ে জেলা পরিষদ থেকে রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, "ওই রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু রাস্তার কাজ কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে। তাতে এই রাস্তাটি যাতে থাকে, সেটা দেখব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Harirampur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy