কুমারগঞ্জে প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। ছবি: অমিত মোহান্ত
মজে যাওয়া আত্রেয়ীর খাঁড়ি সংস্কারের উদ্যোগকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে নেমে কৃষক ও মৎস্যজীবীদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। বালুরঘাট শহর লাগোয়া জলহীন ওই খাঁড়ি খনন করে গভীরতা বাড়ালে যে বন্যা প্রতিরোধ, কৃষিসেচ ও মাছের জোগান বৃদ্ধিতে বাসিন্দারা উপকৃত হবেন এবং তাতে জীবিকারও যে ব্যবস্থা হবে, ব্লকের বাসিন্দাদের সে কথা মনে করিয়ে দিলেন ঘাসফুল প্রার্থী।
ভোট ঘোষণার কিছুদিন আগে, গত ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি বালুরঘাট ব্লকের ওই বড় খাঁড়িটি খননের কাজ শুরু হয়। শহরের মধ্যে ডাঙ্গা এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ওই খাঁড়ি ডাঙ্গা বা আত্রেয়ী খাঁড়ি নামে পরিচিত। পলি বা নোংরা জমে বহুদিন আগে থেকে খাঁড়িটি নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে জলধারণ ক্ষমতা হারিয়ে সেটি মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে ছিল। খাঁড়ি সংস্কারের জন্য বাসিন্দারা বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর পরেই জেলা প্রশাসন খাঁড়িটি সংস্কারে উদ্যোগী হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে খাঁড়ি সংস্কারে প্রায় দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলে খননের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, আন্দোলন সেতু থেকে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গলপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খাঁড়ি সংস্কারের কাজ এগোচ্ছে। প্রথমে সেচ ও জলপথ বিভাগের মাধ্যমে খাঁড়ি সংস্কার হবে। এর পরে বালুরঘাট শহরের মধ্যে থাকা খাঁড়ির দু’পাশে গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। বসার জায়গা, আলো লাগানো হবে। আন্দোলন সেতুর নীচের অংশে জমে থাকা আবর্জনাও সাফাই করা হবে। অর্পিতা জানালেন, পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি খাঁড়িটি সংস্কারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান, চাষের জলের ব্যবস্থা, মাছ উৎপাদন, বন্যা রোধ-সহ একাধিক সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা হচ্ছে।
তৃণমূল সরকারের ওই খাঁড়ি উন্নয়ন প্রকল্পকে অন্যতম হাতিয়ার করে প্রার্থী অর্পিতা বালুরঘাট ব্লকের ১১টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছেন। অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকারের একাধিক প্রকল্পের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের এই প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই দীর্ঘ খাঁড়িটির সংস্কার সম্পূর্ণ হলে কেবল পরিবেশের সুরক্ষার দিকেই নয়, খাঁড়ির উপর নির্ভরশীল এলাকার বহু ধীবর ও চাষি উপকৃত হবেন। এ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভোটের দিকে তাকিয়ে উনি খাঁড়ি সংস্কারের প্রচারে নেমেছেন। ভোট ফুরোলে ওই কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। অতীতে আমরা এ সব দেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy